নব্যেন্দু হাজরা: ১০-এর ভাড়া ৪০। ১৫-র ভাড়া ৫০। শনিবার বিকেলে শোভাবাজার-হাতিবাগান উল্টোডাঙা-আহিরীটোলা, উল্টোডাঙা-বাগুইআটির মতো বেশকিছু রুটে ভাড়ার নামে কার্যত জুলুমবাজি চালালেন অটোচালকরা। যেমন খুশি ভাড়া নেওয়া তো চলেইছে। যাত্রীরা প্রশ্ন করলেই জুটেছে তিরষ্কার। অটোচালকদের পরিষ্কার কথা, ওঠার হলে উঠুন, না হলে হাঁটুন। তিন-চার বার অটো বদলাতে গিয়েই পকেট ফাঁকা। ফলে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে এগরোলটাও খাওয়া হল না অনেকের। সমস্যায় পড়লেন নিত্যযাত্রীরাও।
পুজোর আগে থেকেই কম-বেশি সব রুটেই ভাড়া বাড়ান অটোচলকরা। কিন্তু এবার যেন সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেল। কোথাও তিনগুণ কোথাও বা চারগুণ ভাড়া চাইলেন তাঁরা। বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে হাতিবাগান চত্বরে ঠাকুর দেখতে এসেছিল এক স্কুল পড়ুয়া। পকেটে ১০০ টাকা। অটো ভাড়া দিতেই পকেট ফাঁকা। ফলে পেটে দানাপানি না দিয়েই ফিরে যেতে হল তাকে। তথৈবচ দশা নিত্যযাত্রীদের। অনেকেই উল্টোডাঙায় ট্রেন থেকে নেমে শোভাবাজার থেকে মেট্রো ধরেন। বা বাড়ি ফেরার সময় একইপথে ট্রেন ধরেন। এদিন এই রুটে অটো পেতে কালঘাম ছুটেছে অফিসযাত্রীদের। কারণ, উল্টোডাঙা থেকে সরাসরি শোভাবাজার পর্যন্ত অটো চলছিলই না। চললেও হাতেগোনা কয়েকটা। যার ভাড়া কয়েকগুণ। বরং উল্টোডাঙা থেকে হাতিবাগান, আবার হাতিবাগান থেকে শোভাবাজার রুটে অটো চলেছে।
সূত্রের খবর, এদিনের হয়রানি নিয়ে ইতিমধ্যে পরিবহণ দপ্তরে বেশকিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। আর অটোচালকদের সাফাই, “পুজোর সময় সকলের বোনাস হয়। আমাদের তো হয় না!” যা শুনে আমজনতার কেউ কেউ বলছে, “বোনাস তো হয় ঠিকই, কিন্তু কোথাওই পাঁচগুণ বোনাস তো কেউ পায় না! তাহলে অটো ভাড়া পাঁচগুণ হবে কেন?”