• বন্ধুর কোয়ার্টার থেকে বহরমপুরের জমি ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: শনিবার সকালে বহরমপুরে এক জমি ব্যবসায়ীর রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতের নাম রবি দাস(৪৫)। বাড়ি বহরমপুরের অযোধ্যানগরে। বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সংলগ্ন বন্ধুর কোয়ার্টার থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। সেখানে একজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা আছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে রবিবাবু বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সংলগ্ন তাঁর বন্ধুর সরকারি কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন। সেখানকার ফাঁকা ঘরের ফ্যান থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বন্ধুর মেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ দেখে রবিবাবুর স্ত্রীকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস ও মৃতের পরিজনরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বহরমপুর থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। নিজের বাড়ি ছেড়ে বন্ধুর বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনাটি আমাদের বেশ ভাবাচ্ছে। তবে দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া নোট দেখে প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। মৃতের পরিজনদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। মৃতের স্ত্রী সোমা দাস বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, স্বামীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান এই ঘটনায় জড়িত আছে। এছাড়াও আরও তিন ব্যবসায়ীর নামও উঠে আসছে। এটা যে আত্মহত্যা নয়, তা নিয়ে যুক্তিও খাড়া করেছেন মৃতের স্ত্রী। সোমাদেবী বলেন, ও আত্মহত্যা করলে কেন বন্ধুর কোয়ার্টারে আত্মহত্যা করবে? ওকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কেন হঠাৎ করে রবিবাবুকে খুন করা হবে? প্রশ্নের উত্তরে সোমাদেবী বলেন, ওরা চার বন্ধু মিলে জমির ব্যবসা শুরু করেছিল। আমার স্বামীর টাকায় দিনের পর দিন পিকনিক করেছে। সবকিছু লুটেপুটে খেয়েছে। কয়েক কোটি টাকার একটি জমি চারজন মিলে নিয়ে আমার স্বামীকে ওরা বের করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, চার বছর আগে যখন স্বামীর ব্যবসায় রমরমা ছিল, তখন ওরাই এসে স্বামীর সঙ্গে জুড়েছিল। একসঙ্গে ব্যবসা করে। তারপর ওকে ফাঁকি দেওয়া শুরু করে। আমাদের এলাকার এক বৃদ্ধের বাড়ি দেখাশোনা করত স্বামী। ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর পর স্বামীই তা দেখভাল করছিল। কিন্তু, সেই বাড়িটি স্বামীর কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সব শেষ করে দিল। মানুষটাকে মেরে ফেলল। 
  • Link to this news (বর্তমান)