প্রকল্পের কাজ হয়নি, প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ
বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: স্কুলে কেন্দ্রের জল প্রকল্পের কাজ না হওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের তুলসীহাটা সার্কেলের কুস্তুরিয়া নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন তৃণমূলের প্রধান শকুন্তলা সিংহ স্কুলে জলপ্রকল্প করার কাজ ধরেছিলেন। বরাদ্দ ছিল প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। এজেন্সির লোকরা জায়গা পরিদর্শন করার সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন কৈলাশ রাম। তাঁর কাছ থেকে এনওসি নিয়েও যায় এজেন্সির লোকেরা।যদিও কৈলাশ বলেন, আমার সঙ্গে এজেন্সির লোকেদের মৌখিক আলোচনা হয়েছিল। এনওসি দিয়েছি বলে মনে পড়ছে না।
শুক্রবার ঠিকাদার সহ এজেন্সির লোকেরা প্রকল্পের কাজ করতে আসেন। প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার গুপ্ত এজেন্সির লোকেদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন এমন খবর পেয়ে শনিবার বাসিন্দারা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও প্রধানের স্বামী রামপ্রসাদ সিংহ বলেন, কুস্তুরিয়া ও কুরসাডাঙ্গি গ্রামে এক বছর জলসঙ্কট। তুলসীহাটা পিএইচই থেকে বাড়ি বাড়ি ট্যাপ বসানো হলেও জল পাচ্ছেন না এলাকার মানুষ। কেন্দ্রের জল প্রকল্পের কাজটি হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক কাউকে না জানিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন।
যদিও প্রধান শিক্ষক বলেন, এজেন্সির লোকেদের কাছে অর্ডার কপি দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি। তবে আমি কাজ করতে নিষেধ করিনি। রামপ্রসাদ সিংহকে জানিয়েছিলাম। তবুও গ্রামের একাংশ বাসিন্দা ঘিরে ধরে আমাকে মারধর করেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
তুলসীহাটা সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক মাসুদ করিম আনসারীর মন্তব্য, ‘প্রকল্প সম্পর্কে কেউ কিছু জানায়নি। স্কুলে কোনও কাজ হলে ডিপিএসসির কাছ থেকে এনওসি নিতে হয়। তদন্ত করে দেখছি।’ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এর বিডিও সৌমেন মণ্ডল জানান, প্রকল্পটি সম্পর্কে ব্লকে অর্ডার কপি আসেনি। পুজোর পরে এজেন্সির লোকেরা অর্ডার কপি দেখাবেন বলে জানিয়েছেন।