• ২৫০ মিটার জমি তলিয়ে গেল গঙ্গাগর্ভে গোপালপুরের কামালতিপুরে দিশেহারা দুশো পরিবার
    বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: শুক্রবার রাত থেকে ব্যাপক গঙ্গা ভাঙন গোপালপুরের কামালতিপুরে। শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো মিটার জমি তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে। মাসখানেকের বেশি সময় পর সবেমাত্র বন্যার জল নামছিল এলাকা থেকে। তার মধ্যে এই ভাঙনে দিশেহারা দুই শতাধিক পরিবার। ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন ভাঙন কবলিতরা। মানিকচকের গোপালপুর অঞ্চলের কামালতিপুর গ্রামে প্রায় পাঁচশো পরিবারের বাস। তার মধ্যে প্রায় দুশো পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছে। মুহূর্তের মধ্যে বিঘার পর বিঘা জমি, পাথর দিয়ে বাঁধানো পাড়ের অংশ তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গাবক্ষে। যা দেখে আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় পালাচ্ছেন দুর্গতরা। কিন্তু কোথায় যাবেন ভেবে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় কার্যত খোলা আকাশের নীচে দিন কাটছে দুই শতাধিক পরিবারের। 


    দুর্গতদের একাংশ পর্যাপ্ত প্রশাসনিক সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ করছেন। বৃষ্টি হলে ত্রিপল খাটিয়ে থাকবেন, সেই ব্যবস্থাটুকুও নেই বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের খাবার না জুটলেও প্রশাসন থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় পা দেননি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।


    ভাঙন দুর্গত ফিরোজা বিবির কথায়, ভাঙনে আমাদের ভিটেমাটি, সম্পত্তি তলিয়ে গিয়েছে। নদীর ধারে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদকে নিয়ে কীভাবে থাকব? ভোটের সময় ভাঙন রোখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এখন আর আমাদের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না। আমরা ত্রিপল, চাল চাই না। পুনর্বাসনের জন্য স্থায়ী কলোনির দাবি জানাচ্ছি।


    গ্রামবাসীদের অভিযোগ মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মনিফুল আনসারী। তাঁর মন্তব্য, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। হুকুমতটোলায় প্রতিনিধিরা পরিদর্শনে গেলেও এখানে কারও দেখা মেলেনি। ভাঙনের বিষয়টি সেচ দপ্তরকে বারবার জানালেও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি বলে মনে হচ্ছে।


    এবিষয়ে বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, গোপালপুরের দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। সেচ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জরুরি ভিত্তিতে কীভাবে কাজ করা যায়, তার ব্যবস্থা করব। ভাঙনে যাঁরা ভিটেমাটি হারিয়েছেন, রাজ্য সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।
  • Link to this news (বর্তমান)