নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: পুজোয় ক্রেতা সেজে খাবারের দোকানে হানা দেবেন ফুড সেফটি অফিসাররা। খাবারের গুণমানের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে পরিচ্ছন্নতা। একইসঙ্গে দেখা হবে ফুড লাইসেন্স। কোথাও কোনও খামতি থাকলে জরিমানার পাশাপাশি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। শনিবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক রাজেন্দ্রকুমার রাই।
এদিকে, খাবারের খালি প্যাকেট রেস্টুরেন্টের সামনে কিংবা যত্রতত্র ফেলা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। এনিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে এদিন শহরের রেস্টুরেন্ট মালিকদের হাতে সচেতনতামূলক স্টিকার তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি খাবারের প্যাকেটের উপর ওই স্টিকার সাঁটানো বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক শমা পারভীন। তিনিই এদিন ওই স্টিকারের উদ্বোধন করেন।
জেলাশাসক বলেন, পুজোর সময় প্রচুর মানুষ রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া করে। দেখা যায়, রেস্টুরেন্টের পাশে খাবারের খালি প্যাকেটগুলি ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে। ওইসব প্যাকেটে বৃষ্টির জল জমে জন্ম হতে পারে ডেঙ্গু মশার। সেই কারণে এবার শহরের প্রতিটি রেস্টুরেন্টের মালিককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খাবারের গুণমানের দিকে যেমন খেয়াল রাখতে হবে, তেমনই রেস্টুরেন্টের পাশে যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে, নজর রাখতে হবে সেদিকেও।
ফুড সেফটি দপ্তরকে বলা হয়েছে, তারা পুজোর সময় আচমকা অভিযান চালাবে। প্রয়োজনে ক্রেতা সেজে অভিযান চালাবেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যদি দেখা যায়, কোনও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের গাইড লাইন মানছে না, তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র।