সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুরের হালদার পাড়ায় ১৪ হাজার ব্যথার ইঞ্জেকশন, প্রায় পাঁচ হাজার বোতল কাফ সিরাপ সহ কারবারিকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। তার কাছ থেকে একটি ডায়েরিও উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি থেকে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখে চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত, জানার চেষ্টা করছে পুলিস। মুলত নেশা করার জন্য ওই ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হতো বলে জানা গিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, মাদক সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। সেটি থেকে কারবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলতে পারে। সেসব আমরা তদন্ত করে দেখছি। প্রধান অভিযুক্ত জয়দেব সরকারকে এদিন বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত অসীম সরকারের (২৬) বাড়ি হালদার পাড়া এলাকায়। শুক্রবার রাতে বিশাল বাহিনী নিয়ে এলাকায় অভিযান চালান গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য ও মহকুমা শাসক অভিষেক শুক্লা। অভিযুক্ত জয়দেব সরকার ও অসীম সরকারের বাড়িতে গোডাউনের হদিশ পান তাঁরা। সেখান থেকেই ইঞ্জেকশন ও কাফ সিরাপ উদ্ধার হয়েছে। জয়দেবকে বাড়িতে না পাওয়া গেলেও এই চক্রের অন্যতম সদস্য তার ভাইপো অসীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের বাড়ি থেকে একটি টোটো, মাদক ব্যবসার নথি ও ডায়েরি উদ্ধার করা হয়।
জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ডাঙ্গা, দুমুঠো বর্ডার, গঙ্গারামপুরের প্রাণসাগর, হামজাপুর, কুশমণ্ডির ভদ্রা, কাটাবাড়ি দিয়ে মাদকের চোরাচালান চক্র সক্রিয়। বিএসএফও মাঝেমধ্যে সীমান্ত থেকে মাদক উদ্ধার করে। শনিবার কুশমণ্ডির ভদ্রা বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্ত থেকে ১২০ বোতল কাফ সিরাপ উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর থানায় জমা দিয়ে যায়। বছরখানেক আগে কালিয়াচক থেকে বেসরকারি ও সরকারি বাসে জেলায় পাচার হতো। জেলার প্রবেশদ্বার মেহেন্দিপাড়ায় পুলিসের লাগাতার অভিযানে রুট বদল করে পাচারকারীরা। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলা হয়ে কুশমণ্ডি ধরে নতুন রুটে মাদকের কারবার চলছে। এদিন ধৃতের কাছে পাওয়া ডায়েরি থেকে চক্রের বাকিদের খোঁজ মিলবে বলে আশাবাদী পুলিস। শহরের রবীন্দ্রভবন এলাকায় এমন স্টকিস্টদের নাম থাকতে পারে বলে অনুমান। শনিবার ধৃতকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তুললে বিচারক তিনদিন পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।