নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘পুজোতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হলে আপত্তি নেই। কিন্তু তা হিংসাত্মক আকার নিলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’ আর জি কর ইস্যুতে পুজোর মুখে বাহিনীকে এই বার্তাই দিলেন নব নিযুক্ত কলকাতার পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা। শনিবার দুপুরে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে বাহিনীকে এই বার্তা দেন তিনি।
সিপি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আক্ষরিক অর্থে শনিবার দুপুরে প্রথমবার তিনি কলকাতা পুলিসের ওসি থেকে শুরু করে পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। স্বভাবতই বাহিনীর সর্বস্তরে কৌতূহল ছিল, সিপি এদিন ঠিক কী বার্তা দেন! তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিপি এদিন বলেছেন, ‘ক্ষোভ পুষে রাখবেন না। পুজো দেখতে পথে নামা মানুষকে খোলা মনে হাসিমুখে সাহায্য করুন। পুজোর ডিউটি করার সময় আরও সংবেদনশীল হতে হবে। দরকারে কৌশলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।’ উল্লেখ্য, আর জি কর পরবর্তী সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পুলিসকে একাধিক বক্রোক্তির মুখে পড়তে হয়। সেকথা মাথায় রেখেই সিপির এই বার্তা।
পাশাপাশি, এদিন সিপি বাহিনীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘থানা এলাকায় কোনও ঘটনা ঘটলে ‘আইন মেনে’ ব্যবস্থা নিন। ঘটনা যত ছোটই হোক না কেন, তা সঙ্গে সঙ্গে শীর্ষকর্তাদের নজরে আনুন। মাথায় রাখতে হবে, কোনও ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে নিয়ম মেনে জিডি এন্ট্রি করুন, যাতে থানার সিসিটিভি’র সঙ্গে মিল থাকে। আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সিপির এদিনের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পুলিসের একাংশ।
অন্যদিকে, কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক গার্ডের ওসিদের সঙ্গে এক বৈঠকে সিপি এদিন বলেছেন, পথ দুর্ঘটনার খবর দ্রুত পেতে হবে। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই জখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠাতে হবে। রাস্তা আটকে থাকলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যানবাহন দ্রুত সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে হবে। উল্লেখ্য, বাঁশদ্রোণী থানার দীনেশ পল্লিতে জেসিবির ধাক্কায় স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর পর সিপির এদিনের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।