সংবাদদাতা, বারুইপুর: সকাল থেকে রণক্ষেত্র জয়নগরের মহিষমারি ও তার সংলগ্ন অঞ্চল। আর তার জেরে এই হাট এলাকা শনিবার বনধের চেহারা নিয়েছিল। গোটা এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। বন্ধ করে দিতে হয় এলাকার দুটি প্রাথমিক স্কুলও। শান্তি বজায় রাখতে পুলিসের বিশাল বাহিনী গ্রামে টহল শুরু করে। বসানো হয়েছে পুলিস পিকেটও। গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এলাকায় ভালো মেয়েই বলেই পরিচিত ছিল ওই ছাত্রী। তার এভাবে মৃত্যু মানতে পারছে না গ্রামের লোকজন। ওই ছাত্রীর গ্রাম থেকে মহিষমারি হাট আধ ঘণ্টার দূরত্ব। প্রতিদিন সকালে বসে বাজার। কিন্তু এদিনের ঘটনার পর মহিষমারি হাট এলাকা একেবারে শুনশান। রাস্তার মোড়ে জটলা দেখলেই পুলিস তাড়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করছে। কুলতলি, জয়নগরের বিভিন্ন মোড়ে টহল দিচ্ছে। গোলমালের জেরে গ্রামের গৃহবধূরা স্কুলে-টিউশনে ছেলে মেয়েদের পাঠাননি। অনেকেই বলেন, সাইকেলে করে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হল আমাদের পাড়ার মেয়েকে। আমাদের মেয়েদের এমনটা হবে না তো? প্রশ্ন গ্রামবাসীদের একাংশের। এক প্রবীণ বলেন, নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি চাই। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে জয়নগরে কুলপি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এসইউসি। এই ঘটনায় যে যুবক মোস্তাকিন সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ছাত্রীকে অনুসরণ করছিল। এমনকী মাঝে আইসক্রিম, চকোলেট খাইয়ে ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্বও পাতায়। সে কারণেই টিউশন থেকে ফেরার পথে মোস্তাকিনের সাইকেলে চাপতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়নি ওই ছাত্রী।