শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা ও প্রতিমা দেখার ভিড়ে জমজমাট বারাকপুর
বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: একদিকে কেনাকাটা, অপরদিকে প্রতিমা দেখা– এই দুইয়ের ভিড়ে তৃতীয়ার সন্ধ্যায় জমজমাট বারাকপুর শিল্পাঞ্চল। বরানগর থেকে কাঁচড়াপাড়া, এই বিস্তীর্ণ জনপদে ইতিমধ্যে বড় বড় পুজোগুলির উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি বড় পুজোর উদ্বোধন করেছেন। এছাড়াও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, সাংসদ পার্থ ভৌমিক বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেছেন।
এদিন বৃষ্টি কিছুটা বাধ সাধলেও মানুষের উৎসাহে কোনও ভাটা পড়েনি। ছাতা মাথায় বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে সোদপুরের ১০০ ফুটের মা দুর্গা দেখতে শহিদ কলোনিতে লম্বা লাইন পড়ে যায়। আবার বরানগরের লোল্যান্ড নেতাজি কলোনি এবং ন’পাড়া দাদাভাই সঙ্ঘের পুজো দেখতে অনেকে ভিড় করেন। বেলঘরিয়ার মানসবাগ, আদর্শপল্লি এবং ১৭ পল্লির সুন্দর মণ্ডপও দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে। আগরপাড়ায় হয়েছে থাইল্যান্ডের ‘ব্লু টেম্পল’। সোদপুরের পানশিলা ঠাকুরবাড়ি তাদের ৭৫ তম বর্ষে তৈরি করেছে ‘রাজমহল’। বারাকপুরে মধ্য নোনাচন্দনপুকুর পুজো কমিটি তাদের ৫০ তম বর্ষে রাজস্থানের শিসমহল তৈরি করেছে। স্টেশনের সামনের প্রগতি সঙ্ঘের মণ্ডপে সমস্ত জেলার শিল্পকলা তুলে ধরা হয়েছে। হালিশহরের বলাকা শিশুমহল পুরুলিয়ার আল্পনা গ্রাম তুলে এনেছে। হালিশহরেরই ত্রিপর্ণ হ্যারি পটারের সিক্রেট চেম্বার তৈরি করেছে। কাঁচড়াপাড়ার নবাঙ্কুর ক্লাবের মণ্ডপও দর্শনার্থীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মণ্ডপে ভিড়ের পাশাপাশি এদিন কাঁচড়াপাড়া, নৈহাটি, সোদপুরের বাজারগুলিতে জামাকাপড়, শাড়ি, জুতো কেনার বিরাট ভিড় দেখা যায়। সোদপুরের একটি জুতোর দোকানে লম্বা লাইন পড়ে। সন্ধ্যায় সোদপুর স্টেশন রোডে যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। একদিকে বড় বড় শপিং মল, অপর দিকে ছোটখাটো দোকানেও শেষ মুহূর্তে পুজোর কেনাকাটা করতে আসেন সব বয়সের মানুষ। এতে খুশি দোকানদাররা, যাঁরা সারা বছর এই পুজোর দিনগুলির জন্য অপেক্ষায় বসে থাকেন। কেনাকাটার পরে অনেকে সপরিবারে খাওয়া-দাওয়া সারছেন বিভিন্ন রেস্তরাঁতে।