• বড়শুল ইয়ংমেনস অ্যাসোসিয়েশনের থিম ‘বৃহন্নলা’ মণ্ডপ ও প্রতিমায় ‘নহ দেবী নহ নারী’ ভাবনা
    বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: মহাভারতে তাঁদের কথা পাওয়া যায়। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন। তারপরও সমাজ তাঁদের আড়চোখে দেখে। কিন্তু এই বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই বৃহন্নলাদের সম্মান জানিয়েই বড়শুল ইয়ংমেনস অ্যাসোসিয়েশন এবার তাদের মণ্ডপ সাজিয়েছে। তাদের থিম এবার ‘বৃহন্নলা’। ‘নহ দেবী নহ নারী’ এই ভাবনা মণ্ডপে ফুটে উঠেছে। প্রতিমায়ও সেই ছাপ থাকবে। এই পুজো মণ্ডপ দর্শকদের মন জয় করবে বলে বলছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, প্রতি বছরই থিমের ছোঁয়া থাকে। গ্রামীণ এলাকার পুজো হলেও শহরকে টেক্কা দেয় এই মণ্ডপ। ভিড় সামাল দিতে উদ্যোক্তাদের নাজেহাল হতে হয়। পুজো কমিটির সম্পাদক অরুণাভ সাহা বলেন, বাঁশ, প্লাই, ফাইবার দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। দুর্গার পাশাপাশি কার্তিক, গণেশ, সরস্বতীও দর্শকদের মন জয় করে নেবে। পুজো কমিটির পক্ষে বিপুল মণ্ডল বলেন, উদ্বোধনের পর থেকেই মণ্ডপে দর্শকদের ঢল নামবে।

    বর্ধমান শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকা বড়শুলের পুজো মণ্ডপগুলিতে ভিড় সামাল দিতে পুলিস আধিকারিকদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। থিমের নিরিখে এখানকার তিনটি পুজো কমিটির মধ্যে অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলে। উদ্যোক্তারা বলেন, শেষ মুহূর্তের বৃষ্টি পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। ঝিরঝিরে বৃষ্টি হওয়ায় পুজো মণ্ডপের কাজ থমকে যায়। তবে উদ্যোক্তাদের দাবি, উদ্বোধনের আগেই মণ্ডপের কাজ শেষ হয়ে যাবে। বৃষ্টিতে যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, বড়শুলের পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিবারই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমরা আশা করছি। দর্শনার্থীদেরও সহযোগিতা করতে হবে। মণ্ডপে শৃঙ্খলা মেনে তাঁরা প্রতিমা দর্শন করবেন।

    বর্ধমানের মতো বড়শুলের পুজো উদ্যোক্তারাও বিগ বাজেটের পুজো করে নজর কেড়েছে। ইয়ংমেনস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বলেন, বৃহন্নলাদের নিয়ে তেমন ভাবনাচিন্তা হয় না। তাঁদেরকে প্রতি মুহূর্তে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। কিন্তু তাঁদেরও আনন্দ রয়েছে। কষ্টে ওদেরও মন খরাপ হয়। জীবনের প্রতিটি ধাপে তাঁদের সংগ্রাম করে যেতে হয়। এসব কিছুই মণ্ডপে এসে দেখা যাবে। এক অন্য অভিজ্ঞতা নিয়ে দর্শনার্থীরা বাড়ি ফিরবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)