বৌদ্ধ গুম্ফার আদলে এবার দুর্গাপুজোর মণ্ডপ হচ্ছে নকশালবাড়ির অগ্রদূত সঙ্ঘে
বর্তমান | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
অপু রায়, নকশালবাড়ি: এবার পুজোয় মায়ানমারের বৌদ্ধ গুম্ফার আদলে মণ্ডপ সাজিয়ে শান্তির বার্তা দিতে চলেছে নকশালবাড়ি ব্লকের অগ্রদূত সঙ্ঘ। ৮০তম বর্ষের পুজো এ বছর। নকশালবাড়ির সবচেয়ে পুরনো বারোয়ারি পুজো হিসেবে পরিচিত উত্তর স্টেশনপাড়ার অগ্রদূত সঙ্ঘের এই দুর্গাপুজো। পঞ্চামীর দিন পুজোর উদ্বোধন।
১৯৪৪ সালে চলছিল দেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম। এলাকায় পুজার্চনার মধ্যে দিয়ে সকলের মঙ্গল কামনায় স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল এই পুজো। যা তখন বেলতলার পুজো নামে পরিচিত ছিল। আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে অগ্রদূত সঙ্ঘ নামে পুজোর আয়োজন শুরু হয়।
শান্তির বার্তা তুলে ধরতেই বৌদ্ধ গুম্ফার আদলে পুজোর চূড়ান্ত আয়োজন চলছে। নকশালবাড়ির ঘোষ ডেকরেটর ৭০ ফুট উঁচু এবং ৬০ ফুট চওড়া গুম্ফার আদলে মণ্ডপটি বানাচ্ছে। ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। মণ্ডপে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ, থার্মোকোল, সোনালি রঙের অভ্র। কৃষ্ণনগর থেকে আসা শিল্পীরা কাজ করছেন। মণ্ডপের বাইরে থাকছে সিংহের চারটি বড় অবয়ব। শিলিগুড়ির কুমোরটুলির থেকে ১১ ফুট উঁচু একচালা প্রতিমা নিয়ে আসা হবে। রাস্তাজুড়ে থাকবে চন্দননগরের আলো। দু’টি ম্যাকানিক্যাল লাইটের বড় গেট সহ ১২টি কলকা থাকবে রাস্তার দু’ধারে।
সপ্তমী থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি রয়েছে, জানান ক্লাব কর্মকর্তারা। ডেঙ্গু মোকাবিলায় মশারি বিতরণ করা হবে। পুজোয় দর্শনার্থীদের জন্যও থাকবে প্রসাদ। দু’দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় জোর দিতে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি সহ থাকছে প্রাইভেট সিকিউরিটিও।
ক্লাবের সদস্য ৬০ জন। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ এই ক্লাবের সদস্য। এবার পুজো কমিটির সভাপতি সুপ্রিয় মণ্ডল ও জীবন ঘোষ। পুজো কমিটির চেয়ারম্যান রঞ্জন ভৌমিক। সম্পাদক গণেশ শৈব্য ও বিরাজ সরকার বলেন, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের আবহাওয়া চলছে। এজন্য শান্তির বার্তা তুলে ধরতে আমাদের এই প্রয়াস। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ অসীম পাইন ও হিতাংশু ভৌমিক সহ সদস্য বিশ্বজিৎ ঘোষ, সুজয় দাস, বাবলা দে, শঙ্কর মাহেশ্বরী, মলয় গোষ, পিনাকী চক্রবর্তী, অর্জুন গুপ্তা, কমল ঘোষ, সাহিন ঘোষ বলেন, নজরকাড়া পুজো করতে সকলে মিলে ঝাঁপিয়ে পড়েছি।