গত কয়েকদিনের মত ম্যাচের পর প্রশ্নের চাপ নেই, জবাবদিহি নেই। হাসিমুখে ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল মোহনবাগান কোচ হোসে মলিনাকে। আর হবে নাই বা কেন, বেঙ্গালুরুতে পর্যুদস্ত হওয়ার পর যখন কোচ বিদায় করার হুজুগ উঠেছিল সেই আবহে কলকাতা ডার্বি জয়। ছবির মত ফুটবল, দুর্দান্ত ম্যাকলারেন, ছন্দে থাকা স্টুয়ার্ট। আর যে ডিফেন্স নিয়ে এত প্রশ্ন সেখানেও একশোয় একশো।
হাসি মুখে মলিনা জানালেন, 'দলের খেলায় খুশি। তবে একটু কম খুশি কারণ আরও গোল হতে পারত। আমি আগেই বলেছি, দলের ছন্দে ফিরতে একটু সময় লাগবে। সেটা আস্তে আস্তে হচ্ছে। গোলের চান্স তৈরি হয়েছে এটাও একটা ভাল দিক।'
এদিন প্রথমবারের জন্য শুরুতে নেমেছিলেন অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন। আর এদিনই প্রথম গোল পেলেন। মলিনা জানালেন, 'সিজনের শুরুতে ওর চোট ছিল। প্রথম থেকে খেলতে পারেনি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ও নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছিল। আমি ওর খেলায় খুশি।'
ডিফেন্স নিয়েও এদিন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। শুভাশিস, আশিস রাইয়ের পাশাপাশি অ্যালবার্তো, অ্যালড্রেডও নিরাশ করেননি সমর্থকদের। সেই প্রসঙ্গেও এদিন ডিফেন্সের প্রশংসা করে মলিনা বলেন, 'আলাদা করে কোনও বিষয় আমি তুলে ধরছি না। গোটা দল ভাল খেলেছে। ডিফেন্স ভাল না করলে আক্রমণ ভাল হয় না। আর আক্রমণ ভাল না হলে ডিফেন্স ভাল হয় না।'
মোহনবাগানের পরের ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। তার আগে আন্তর্জাতিক বিরতিতে দেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন বাগানের ছয় জন খেলোয়াড়। মলিনা জানিয়ে দিলেন, সাহাল চোটের কারণে ভারতীয় শিবিরে যাচ্ছেন না। তিনি কলকাতায় থেকে অনুশীলন করবেন। রবিবার থেকেই আরও এক বড় ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন বাগান কোচ।
এদিন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু। মহামেডানকে সম্মান জানিয়েই তিনি বললেন, 'মহামেডান শক্তিশালী দল। আগের তিনটে ম্যাচে আমরা সবাই দেখেছি ওরা কেমন খেলেছে। মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন দল।
তিন পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ওপরের দিকে থাকতে হবে সেটাই আমাদের মোটিভেশন। এই জয় পরের ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এই জয় সমর্থকদের জন্য পুজোর উপহার।'