• পুজোর মুখে ফের যানজটে রাতভর নাজেহাল হাওড়া
    আনন্দবাজার | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
  • এক দিকে বেহাল রাস্তার মেরামতি চলছে। অন্য দিকে, পুজোর আগের শেষে রবিবারে অসংখ্য যানবাহন রাস্তায় বেরিয়ে পড়ায় শুক্রবার রাত থেকে ফের তীব্র যানজটে জড়াল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ হাওড়ার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। গত সপ্তাহে একসঙ্গে চারটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হওয়ায় যানজটে আটকে পড়া যাত্রীদের যে রকম প্রবল ভোগান্তি হয়েছিল, ঠিক তেমনই ভোগান্তি হল শুক্রবার রাতেও। যার রেশ চলল শনিবার রাত পর্যন্ত। এ দিনও যানজট সামাল দিতে হিমশিম খেতে হল ট্র্যাফিক পুলিশকে।

    কিন্তু ফের কেন এই যানজট? হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের বক্তব্য, একাধিক কারণে এই যানজট তৈরি হয়েছে। প্রথমত, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের কলকাতামুখী রাস্তায় শেখপাড়ার পরেই বিদ্যাসাগর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের বর্তমান অবস্থা এক কথায় ভয়াবহ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও নবান্নের সামনে ওই একই জায়গার অন্তত ৫০ ফুট অংশ জুড়ে তৈরি হয়েছিল ছোট-বড় অজস্র গর্ত। কয়েক জায়গায় পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের মরণফাঁদ তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার রাত থেকে ওই রাস্তার এক দিক বন্ধ রেখে মেরামতির কাজ শুরু করেন হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স কর্তৃপক্ষ। যার ফলে যানবাহনের গতি ওই জায়গায় এসে কমতে থাকে। তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট।

    দ্বিতীয়ত, ১৬‌ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অঙ্কুরহাটিতে পুজোর আগে শুক্রবারের শেষ হাটে প্রচণ্ড ভিড় হয়েছিল। যার জেরে বর্ধমান এবং কলকাতাগামী সমস্ত গাড়ি খুব ধীরে ধীরে চলতে থাকে। ফলে যানজট ক্রমশ বেড়ে চলে। সেই চাপ এসে পড়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে-সহ অন্য রাস্তাগুলিতে। শনিবার ভোরের আগেই প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের কলকাতা ও হাওড়ামুখী দু’টি রাস্তাই। তৃতীয়ত, আজ, রবিবার সকাল থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বা লরি শহরে আর ঢুকতে পারবে না বলে প্রচুর পণ্যবাহী যানবাহন গন্তব্যের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছিল। সেই সঙ্গে শনি-রবি ছুটির দিন থাকায় বহু ব্যক্তিগত গাড়িও বেরিয়েছিল রাস্তায়।

    হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বললেন, ‘‘পুজোর আগে এই ধরনের যানজট হয়েই থাকে। কিন্তু রাস্তা এ বছরের মতো এতটা খারাপ না থাকায় অন্যান্য বার সমস্যা হয়নি। বিশেষ করে, কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে ছ’লেনের এলিভেটেড করিডরের কাজ দু’প্রান্তেই শুরু হয়ে যাওয়ায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা শুক্রবার রাত থেকেই রাস্তায় নেমে যান‌জট ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)