মর্গ থেকে আর জি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার দেহ বার করতেই তা আটকাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধেছিল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ সিপিএমের যুব নেতৃত্বের। এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ‘ধর্ষণ-খুন’ কাণ্ডে নির্যাতিতার দেহ শনিবার মোমিনপুরের কাটাপুকুর মর্গে আনা হলে সিপিএম, বিজেপি-র বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধল। দীপ্সিতা ধর-সহ সিপিএম নেতা-কর্মীদের পুলিশ মারধর করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ অভিযোগ মানেনি।
দেহ কাটাপুকুরে আনা হতে পারে খবর পেয়ে বিকেলে সেখানে গিয়ে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিজেপির লোকজন এবং এসএফআই-এর সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা-সহ সিপিএম নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বাধে। আসে কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল, দক্ষিণ এবং বন্দর ডিভিশনের বিশাল বাহিনী। সন্ধ্যায় দেহ এনে মর্গে নিয়ে যাওয়ার সময়ে তথ্য-প্রমাণ ও দেহ লোপাটের অভিযোগ তুলে মর্গ চত্বরে স্লোগান দিতে থাকেন দীপ্সিতারা। ধাক্কাধাক্কিও বাধে দু’পক্ষে। দীপ্সিতাকে টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ। তাঁদের কয়েক জনের মুখ ঢাকা ছিল বলেও দেখা যায়। সেই সময়ে পুলিশের উদ্দেশে দীপ্সিতাকে বলতে শোনা যায়, “এক বার দেহ লোপাট করেছিস। শান্তি হয়নি? এ বার তো দশ বছরের মেয়ে, আবার?” পুলিশ কীলুকোচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে দীপ্সিতারা বিচারবিভাগীয় নজরদারিতে দেহের ময়না তদন্তের দাবি জানান। তাঁর আরও অভিযোগ, “আমাদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হল না। মারধর করা হয়েছে। এক জনের মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করে প্রিজ়ন ভ্যানে পর্যন্ত মারধর করেছে। আসলে, আর জি করে যা করতে পেরেছিল, এখানেতা পারেনি।”
পরে আরও বাহিনী বাড়িয়ে পুলিশ এলাকা ফাঁকা করে দেয়। যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে পুলিশ জানিয়েছে, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রাত-পাহারায় লালবাজার এবং দক্ষিণ কলকাতার একাধিক থানা থেকে পুলিশকর্মীদের এনে মর্গ-চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।