• LIVE: জুনিয়র চিকিৎসকদের ‘আমরণ’ অনশনের দ্বিতীয় দিন, পুলিশকে ইমেল আন্দোলনকারীদের
    আজ তক | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
  • পূর্বঘোষণা মতোই জুনিয়র ডাক্তাররা শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন। ধর্মতলায় তার জন্য নিজেরাই মঞ্চ বানিয়েছেন। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের মোট ছয়জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন শুরু করেছেন।

    কারা বসেছেন অনশনে
    অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তালিকায় রয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা এবং ক্যানসার বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট স্নিগ্ধা হাজরা। এ ছাড়াও, এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এনআরএসের পুলস্ত্য আচার্য এবং কেপিসি হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সায়ন্তনী ঘোষ হাজরাও অনশনে বসেছেন। অনশনকারীদের তালিকায় আর জি কর হাসপাতালের  কোনও চিকিৎসকের নাম নেই। 

     

    পুলিশ জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চ করার অনুমতি দেয়নি
    তবু জুনিয়র চিকিৎসকরা  ধর্মতলায় মঞ্চ করেছেন। মঞ্চ তৈরি করতে তাঁদের পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। দফায় দফায় ডাক্তারদের সঙ্গে পুলিশ অফিসারদের তর্কাতর্কি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। শনিবার পুলিশ বেআইনি জমায়েত করার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয়দের নামে এফআইআর করেছে। রাতে অনেক সিনিয়র ডাক্তার মঞ্চে এসে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। টলিপাড়ার কয়েকজন অভিনেতাকেও দেখা যায়। অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত বলেন, আমি প্রশাসনের কর্তাদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, দয়া করে এই ৬ জনকে ডেকে নিন। ওদের অনশন থেকে ওঠানোর ব্যবস্থা করুন।

    মোট ১০ দফা দাবি
    ধর্মতলায় ‘আমরণ’ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সরকারের কাছে মোট ১০ দফা দাবি নিয়ে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার রাত আটটায় সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। এরপরেই মোট ছয় জন চিকিৎসক অনশন শুরু করেন। শনিবার অনশন মঞ্চ থেকে চিকিৎসকেরা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পর পেলাম শুধুই হুমকি। উৎসবে ফিরতে বলা হয়েছে, কিন্তু আমাদের সেই মানসিকতা নেই। আজ থেকেই আমরা আমরণ অনশনে বসছি। আমরা কাজে ফিরছি, কিন্তু খাবার খাব না।’

    মঞ্চের চারিদিকে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে
    জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে মঞ্চের চারিদিকে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। অনশনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আন্দোলকারীরা অনশন মঞ্চে কী ঘটছে সেটা সরাসরি দেখতে পাবেন। শনিবার মোট ছয়জন অনশনে বসেছেন।

     

    সিবিআইয়ের উপরেও আস্থা নেই
    মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, সিবিআইয়ের উপরেও তাঁদের সম্পূর্ণ আস্থা নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘সিবিআইয়ের তদন্তের উপর আমাদের আস্থা ছিল। তবে, এখন বলছি সম্পূর্ণ আস্থা নেই। আদালতে যে শুনানি হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে না, তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে।’ অনশনের পাশাপাশি তাঁদের আন্দোলন চলতে থাকবে বলেও জানান জুনিয়র ডাক্তাররা। 

    পুলিশকে ইমেল আন্দোলনকারীদের
    অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের মঞ্চে ‘বায়ো টয়লেট’ নিয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘বায়ো টয়লেটের জন্য আমরা পুলিশকে ইমেলও করেছিলাম। আমাদের সে সব আনতে দেওয়া হচ্ছে না। বলা হয়েছে, ওদের বড়বাবু আসার আগে বায়ো টয়লেট নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তিনি ১১টার পর আসবেন। চিকিৎসার সময় কি আমরা বলি, বড়রা কেউ না এলে আমরা পরিষেবা দেব না? এটা অমানবিক, নিন্দনীয়, ঘৃণ্য।’’ বায়ো টয়লেটের জন্য পুলিশকে ইমেল করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বলা হয়েছে, আমরণ অনশনের জন্য ধর্মতলার অবস্থান মঞ্চে বায়ো টয়লেট প্রয়োজন। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য দু’টি আলাদা বায়ো টয়লেটের অনুমতি চাওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে। জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে ইমেল করা হয়েছে।
  • Link to this news (আজ তক)