দিশা আলম, বিধাননগর: আর জি কর কাণ্ডের মধ্যেই ধর্ষণের অভিযোগ কলকাতায়। নিউটাউনের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে বছর ষোলোর নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসতেই ব্যাপক এই উত্তেজনা এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে যাত্রাগাছি-কেষ্টপুর বাগজোলা খালপাড় লাগোয়া বিবেকানন্দ পল্লিতে। ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশের পাশাপাশি জনরোষের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন স্থানীয় জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২) নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নাবালিকার বাবা-মা রোজ সকালে কর্মেসূত্রে বাড়ির বাইরে চলে যেতেন। সেই নির্জনতার সুযোগ বুঝে প্রায়শই নির্যাতিতার ঘরে যেতেন প্রতিবেশী এক ব্যক্তি। তিনি মেয়েটির পাড়া সম্পর্কে ‘কাকা’। শুক্রবারও মেয়েটির উপর একই শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, ওই নাবালিকা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা নাগাদ বিষয়টি মায়ের কাছে খুলে বলে নিগৃহীতা। এর পরই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় নির্যাতিতাকে।
পরিবারের বক্তব্য, “মেডিক্যাল রিপোর্টে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের বিষয় স্পষ্ট হয়েছে।”এর পরই লোকমুখে সেই খবর জানাজানি হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে প্রতিবেশীরা। অশান্তি ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত ধর্ষক এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। বিক্ষুদ্ধদের দাবি, রাজনৈতিক ইন্ধন জুগিয়ে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন স্থানীয় কয়েকজন। এতেই প্রতিবেশীরা ব্যাপক ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তের বাড়ির উপর হামলা চালায় ৷
ঘটনায় শুক্রবার মাঝরাতেই নির্যাতিতার পরিবার পুলিশের খাতায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছেন। নিউটাউন থানার পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত প্রতিবেশী সঞ্জয় হালদার (২৫)। স্থানীয় জ্যাংড়া-হাতিয়াড়ার (২) নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতা গাইন জানিয়েছেন, “নিকৃষ্ট ঘটনা৷ অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া সঙ্গে ওই মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও শুনেছি।”