জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মসূচিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসতে চলেছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও। রবিবার এ কথা জানান সিনিয়র চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। ‘আমরণ অনশন’-কে পুরোপুরিভাবে যে তাঁরা সমর্থন করছেন, এ দিন তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এ দিন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স ওয়েস্ট বেঙ্গল-এর একটি প্রতিনিধি দল জয়নগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। নাবালিকার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে এই চিকিৎসক সংগঠন।সিনিয়র চিকিৎসকদের তরফে উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জয়নগরের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন যদি আরও সক্রিয় হতো তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত না। বাংলায় মহিলারা নিরাপদ নন। এই শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে আমরা জয়নগরে যাচ্ছি।’
শনিবার রাত ৮টা থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ‘আমরণ অনশন’-এর ডাক দিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ছ’জন অনশন শুরু করেছেন। তাঁদের কিছু ঘটলে সেই দায় সরকারের। এ চিকিৎসকরা হলেন অর্ণব মুখোপাধ্যায়, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্তা আচার্য, স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী ঘোষ, তনয়া পাঁজা। তাঁদের মঞ্চের পেছনে লেখা রয়েছে একাধিক দাবি।
জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনশন মঞ্চে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে কি না তা মানুষকে জানানো হবে। মঞ্চে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। প্রয়োজনে তা প্রকাশ্যে আনা হবে। অন্যান্য জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার পরামর্শ দিলেও আন্দোলন থেকে সরে না আসার বার্তা দিয়েছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। সেই মোতাবেক ওপিডি থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত কাজ করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এ বার তাঁদের অনশন কর্মসূচির পাশে দাঁড়ালেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। তবে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সরকারের তরফে এখনও তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। স্পষ্ট করে কিছু না বললেও নবান্নের সঙ্গে আলোচনার পথ তাঁরা খোলা রেখেছেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
অনশন মঞ্চে বায়ো টয়লেট চেয়ে এ দিন পুলিশকে ই-মেল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পুলিশ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা বন্দোবস্ত করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও পুলিশের তরফে কোনও জবাব আসেনি বলেই জানা গিয়েছে।