এই সময়, হাওড়া: হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা। মুখে একটি টেপ লাগানো। শনিবার সকালে নিজের ঘরের বিছানা থেকে এমন অবস্থায় এক বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। হাওড়ার আন্দুলের ঘটনা। সাঁকরাইল থানার পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম কুণাল ভট্টাচার্য (৬০)। বৃদ্ধকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে খুন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অবিবাহিত কুণাল ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী ও নাবালক ভাইপোর সঙ্গে থাকতেন। বছর দুয়েক আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে তাঁর ভাই মারা যান। তিনি নিজে ছাপাখানার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এলাকায় শান্ত ও ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন কুণাল। এ দিন সকালে ঘরের মধ্যে বিছানার উপর পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ও হাত পিছমোড়া করে বাঁধা অবস্থায় কুণালের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, যাতে চিৎকার করতে না পারেন, তার জন্য খুনিরা তাঁর মুখে টেপ লাগিয়ে দিয়েছে। তার পর তাঁকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
নিহত বৃদ্ধের ভাইয়ের স্ত্রী ও ছেলে পাশের ঘরে থাকতেন। তাঁরাই সকালে কুণালকে বিছানায় এমন অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। একটি খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত করেছে। যে ঘরে দেহ মিলেছে তা সিল করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিহতের ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে এক ব্যক্তি প্রায়ই ওই বাড়িতে আসত। পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বাসিন্দাদের ধারণা, সম্পত্তি সংক্রান্ত কারণে খুন হতে পারেন বৃদ্ধ। স্থানীয় বাসিন্দা অমর্ত্য ঘোষ বলেন, ‘কুণাল প্রিন্টিংয়ের কাজ করতেন। খুব ভালো মানুষ ছিলেন। এ ভাবে রহস্যজনক ভাবে মারা গেলেন, তা খুবই খারাপ লাগছে।’
আরও এক বাসিন্দা নেপাল সাহা বলেন, ‘সকালে বাড়ির নীচে অনেক লোক হইচই করছে দেখে ফ্ল্যাট থেকে নীচে নেমে আসি। কুণাল খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। ওদের বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল না।’ পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে কোনও পারিবারিক কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। খুব তাড়াতাড়ি এই ঘটনার তদন্ত শেষ হবে।