• বীরভূমে নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ চিকিত্সকের বিরুদ্ধে, অভিযুক্ত নির্দোষ দাবি করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
    ২৪ ঘন্টা | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
  • প্রসেনজিত্ মালাকার: আরজি করের চিকিত্সকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। টানা প্রায় দুমাস কর্মবিরতির পর কাজে ফিরেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার মধ্যেই ফের সরকারি হাসপাতালে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই চিকিত্সককে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।

    বীরভূমের মুরারই থানার চাতরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য় কেন্দ্রের হোমিওপ্যাথি চিকিত্সক চয়ন মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই হাসপাতালেরই এক নার্স। সূত্রের খবর, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। এনিয়ে বীরভূমের পুলিস সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, নার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

    অভিযোগ দায়েরের পরই ওই চিকিত্সকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত চিকিত্সককে তার কোলাঘাটের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এদিকে চিকিৎসক নির্দোষ দাবি করে হাসপাতালের সামনে জমায়েত হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের দাবি চিকিৎসকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।

    সেপ্টেম্বর মাসের ২২ তারিখে বাড়িতে ঢুকে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা । অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। বর্তমানে ওই অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই ওই নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে অভিযুক্তের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। এমনকি মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছেন মানিকচক থানার সাব ইন্সপেক্টর বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাই পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই নির্যাতিত মহিলা। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানিকচক থানার সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন চক্রবর্তী।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)