জয়নগর কাণ্ডে JNM হাসপাতালে ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
গোবিন্দ রায়: জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত হবে। সেখানে ময়নাতদন্ত করবেন এইমসের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। কখন হবে, তাও ঠিক করে দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, যৌন নির্যাতন সত্ত্বেও কেন পকসো আইনে মামলা হয়নি? এদিনের শুনানিতে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন নির্যাতিতার আইনজীবী।
শনিবার জয়নগরের মহিষমারি গ্রামে ৯ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন-খুনের ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মৃতার ময়নাতদন্ত ঘিরে জটিলতা দেখা দেয়। নিরপেক্ষতার স্বার্থে রাজ্যের কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তে রাজি নয় পরিবার। তাই কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়ে রবিবারই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। দ্রুত শুনানির আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিকেলে শুনানিতে তিনি পরিবারের আবেদন গ্রহণ করে নির্দেশ দেন, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করবেন এইমসের চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, দুটিই কেন্দ্রীয় সংস্থা।
বিচারপতির আরও নির্দেশ, সোমবার ১১.৪৫এর মধ্যে দেহ নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকবেন বারুইপুর আদালতের ACJM। তবে এদিন মামলার শুনানিতে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, মৃতার সুরতহাল রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিত রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ কেন পকসো আইনে মামলা রুজু করেনি? পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। পকসো আদালতে মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এদিনের শুনানিতে পরিবারের তরফে আইনজীবী জানান, রাজ্য পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই পরিবারের। তাই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।
এদিকে, পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে জয়নগর কাণ্ড নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন মাসের মধ্যে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজার পক্ষে তিনি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনই গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রতিবেশী সেই যুবকই মূল অভিযুক্ত বলে মনে করছে পুলিশ।