রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: অবৈধ সম্পর্কের জেরে ঘনিষ্ঠতা দেখে ফেলায় গৃহবধূকে পিটিয়ে খুনের উঠল পূর্ব মেদিনীপুরে। স্থানীয়রা জানতে পেরে অভিযুক্তদের গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পটাশপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, স্বামী উওম শীট কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় পটাশপুর থানার ভূবনমঙ্গলপুর গ্রামে অস্থায়ী বাড়ি তৈরি করে থাকতেন খুকুরানী পাল শীট (৪৫)। শনিবার রাতে প্রতিবেশী শুকচাঁদ মাইতি ও তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী নমিতা মাইতির অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন খুকু। দুজনের ঘনিষ্ঠতাও দেখে ফেলেন। প্রতিবাদ করতে গেলেদুজনেই খুকুদেবীর বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এমনকী খুকুকে বাড়িতে একা পেয়ে বেদম মারধর করা হয়। পরে মুখে বিষ ঢেলে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানতে পেরে খুকুকে উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। তার পরেই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা শুকচাঁদকে উলঙ্গ করে গণপ্রহার দেওয়া হয়। পাশাপাশি নমিতাকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। দীর্ঘ চেষ্টার পরে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় বলে খবর।
এগরার এসডিপিও দেবীদয়াল কুন্ডু বলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি তা হল দুই অভিযুক্তের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলে মহিলাটি। তাই তাঁকে মারধর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেই মহিলার মৃত্যু ঘটেছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের আটক করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অপরেশ সাঁতরা বলেন, “শুকচাঁদ ও তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ তাদের আটক করেছে। পরে গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যে পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে। এই শুকচাঁদ ১৯৯৮-১৯৯৯৯ সালে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এই ঘটনার আমরা নিন্দা প্রকাশ করি।”