থিমের পুজোয় এ বারও হালিশহর, কাঁচরাপাড়ায় চলছে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার পালা। বীজপুর বিধানসভার অধীন যে কয়েকটি বড় থিমের পুজো হয় তার মধ্যে অন্যতম হালিশহর বলাকা শিশুমহল। ৩৪ তম বর্ষে তাদের থিম ‘পুরুলিয়ার ছৌ এল, দেখতে চলো’। অব্যবহৃত ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়েই তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। সেই তালিকায় রয়েছে গাছের শুকনো ডাল, পাতা, ভুট্টার খোসা, মাটির চায়ের ভাঁড়।এ ছাড়াও মণ্ডপ তৈরিতে কাজে লাগানো হচ্ছে বাঁশ, চট, তালপাতা, বিচুলির মতো সামগ্রী। মূল মণ্ডপে অশুভ শক্তির বিনাশের ছবির পাশেই শোভা পাচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম বৃত্তান্তের ছবি। অন্যতম আকর্ষণ পুরুলিয়ার ছৌয়ের সাজে মায়ের রূপ। পুজো উদ্যোক্তা হালিশহরের পুরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। শিল্পীর নিখুঁত কাজ এ বারও নজর কাড়বে দর্শনার্থীদের।’
হালিশহর বাগমোড় ত্রিপর্ণের পুজোর থিম ‘হ্যারি পটার’। লোহা, ফাইবার, বাঁশ, কাঠ, ফোম দিয়ে শিল্পীরা নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলছেন মণ্ডপ। মণ্ডপের উচ্চতা ৬০ ফুট ও চওড়ায় প্রায় ৪৫ ফুট। ভিতরে হ্যারি পটারের সিক্রেট চেম্বারের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। ফাইবারের হ্যারিপটারের সঙ্গে মণ্ডপ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য সাপ।
কাঁচরাপাড়া লিচুবাগান নবাঙ্কুর ক্লাবের পুজোতেও জোর টক্কর। ৫৩ তম বর্ষে তাদের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের একটি গির্জার আদলে। ফাইবার গ্লাস, প্লাইউড, ফাইবার মোল্ড দিয়ে কাজ চলছে মণ্ডপ তৈরির। প্রবেশ পথ দিয়ে ভিতরে ঢুকলেই নজরে আসবে দেওয়াল জুড়ে নবদুর্গার চিত্র। পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবি ঘোষ জানান, বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী সুভাষ জানার হাতে তৈরি টেরাকোটার মাতৃপ্রতিমা।
লিচুবাগানের বিশ্বনাথ স্মৃতি সঙ্ঘের ৭৫ বছরের থিম প্রাচীন রাজবাড়ি৷ প্লাই, কাঠ, বাটাম, ফোম দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে৷ সামনে খোলা বড় দালান থেকে শিব মন্দির, তুলসিমঞ্চ, জলসাঘর সবই রয়েছে। পুজো উদ্যোক্তা মলয় ঘোষ বলেন, ‘জলসাঘরে প্রতিদিনই থাকবে লাইভ গানের আসর।’