ন্যাজাট থানায় পৌঁছেই অসুস্থ 'অনুপ্রবেশকারী', হাসপাতালের পথে মৃত্যু 'বাংলাদেশি'র
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বসিরহাট পুলিশের হাতে ধরা পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হল এক যুবকের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তিনি বাংলাদেশি।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মৃত ওই যুবকের নাম মিজান গাজি। শনিবার, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পুলিশ জেলার অন্তর্গত ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে তিন যুবককে পাকড়াও করা হয়।
পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ওই তিন যুবকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সেই জন্যই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে মিজান গাজিও ছিলেন।
এরপর ওই তিন যুবককে স্থানীয় থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। কিন্তু, থানায় পৌঁছনোর পরই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন মিজান। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করেন।
কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় মিজানকে দ্রুত বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মিজানের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর বসিরহাট হাসপাতালের পুলিশ মর্গে মিজানের দেহ রেখে দেওয়া হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে কেবলমাত্র মিজানের নামটুকুই জানতে পেরেছে। কিন্তু, তিনি কোথাকার বাসিন্দা, সেই সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকী, এমন কোনও তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যার থেকে বোঝা যায়, তিনি ভারতীয়।
তাই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মিজান গাজি আদতে বাংলাদেশি। খুব সম্ভবত বেআইনিভাবে, গোপনে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছিলেন তিনি। তারপর ভারতেই থাকতে শুরু করেন।
তবে, মিজান গাজি যদি সত্যিই বাংলাদেশি হন, তাহলে তিনি কেন ভারতে ঢুকেছিলেন, তাঁর এই অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্য কী, ভারতে তিনি কাদের সাহায্যে থাকতে শুরু করলেন, তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল কীভাবে, কেনই বা তাঁকে এই আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখতে হল, সেসব এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনায় আরও যে দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, মনে করা হচ্ছে, তাদের জেরা করা হলেই মিজান গাজি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। গোটা ঘটনার সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক চক্রের সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের সীমাবন্তবর্তী এলাকা এবং লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের বেআইনি আনোগোনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অনেক সময় বিএসএফ জওয়ানরাও অনুপ্রবেশকারীদের পাকড়াও করে পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেন।