• মমতার ভাইকে সরানো হল হকি বেঙ্গলের সভাপতির পদ থেকে, বাবুনের পদে এবার সুজিত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
  • এবার হকি বেঙ্গলের সভাপতির পদ থেকে সরানো হল স্বপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। তিনি বাবুন নামেই পরিচিত। সেই বাবুন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে এবার সরিয়ে দেওয়া হল। তবে সেই সভাপতির পদে বসানো হল রাজ্য়ের এক মন্ত্রীকে। তিনি আর কেউ নন, সুজিত বসু। প্রসঙ্গত এবার বাবুন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে হকি বেঙ্গলের সভাপতির পদ থেকে সরানোর ঘটনাকে ঘিরে ফের নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

    এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই এই পদে ছিলেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অর্থাৎ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাবুন বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই পদ পেয়ে গিয়েছিলেন। প্রায় ১২ বছর ধরে এই পদে ছিলেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে তাঁর সময়ে বাংলায় হকির উন্নতি যে একেবারে হয়নি তেমনটা নয়। তিনি নিজের উদ্যোগে হকি খেলার জন্য দুটি অ্যাস্ট্রো টার্ফ তৈরি করেছেন। এমনকী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কথা বলেই তিনি এই অ্যাস্ট্রো টার্ফ তৈরি করেছিলেন। 

    এমনকী অনেকের মতে, তিনি একতরফা সব উদ্যোগ নিতেন এমনটাও নয়। সেই বাবুন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কেন সরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    এদিকে হকি বেঙ্গলের সভাপতির পদ থেকে সরানো নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মুখ্য়মন্ত্রীর ছোট ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর, তাঁর জায়গায় হকি বেঙ্গলের সভাপতির পদে সুজিত বসুকে সরানো হচ্ছে এটা আঁচ করতে পারেননি বাবুন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর সুজিত বসু নিজেই নাকি ফোন করে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আর বিতর্ক বাড়াতে চাননি। সব মিলিয়ে এসব বিতর্ক থেকে তিনি কিছুটা দূরে থাকতে চান। 

    এদিকে লোকসভা ভোটের আগেও হাওড়ায় প্রার্থী পদকে কেন্দ্র করে এমন কথা বলেছিলেন বাবুন, যার জেরে পালটা দিয়েছিলেন দিদি মমতা স্ময়ং। তবে বাবুন বন্দ্যোপাধ্য়ায় অবশ্য তারপর যাবতীয় বিতর্ককে দূরে রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করেছিলেন। 

    বাবুন বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই সময় বলেছিলেন, আমি লোভী নই। আমি অভিমানী। খেটে বড় হয়েছি। আমি শুধু বলেছিলাম এই ব্যক্তিতে প্রার্থী না করে অন্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করলে খুশি হতাম। হাওড়াবাসীদের বলছি, দিদিমণি যেটা বলছেন সেটা শুনুন। কিন্তু আমার মতামতটা আমি দিয়েছি। মোহনবাগান ক্লাবে আমায় যে আঘাত করা হয়েছিল সেটা ভুলতে পারেনি। আমি স্পষ্টবক্তা। বিজেপির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু আমার বিজেপির সঙ্গে কোনও রিলেশন নেই। দিল্লি যাওয়া মানেই বিজেপির কোনও ব্যাপার নেই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)