• দুর্গাপুজোয় শহরের রাজপথে নামছে ১০ হাজার বাড়তি পুলিশ, থাকছে ২০০টি পিকেট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
  • দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে শহরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে নাভিশ্বাস ওঠে কলকাতা পুলিশের। রাজপথে মানুষের ঢল নামায় যানজট তৈরি হয়। যা সামাল দিতে পথে নামতে হয় পুলিশকর্তা থেকে পুলিশকর্মীদের। এই আবহে দু’‌দিন পর দুর্গাপুজোয় রাজ্যজুড়ে মানুষের ঢল নামবে। আজ তৃতীয়া। এবারের দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে অনশন–মিছিল চলতে পারে। এখন থেকেই সেই অনশন শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই দুর্গাপুজোয় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কলকাতার নানা প্রান্তে ২০০টি পুলিশ পিকেটের ব্যবস্থা করছে লালবাজার। মূলত, বিক্ষোভ বা জমায়েত ঠেকাতেই পিকেটের ভাবনা।

    এদিকে মহালয়ার দিন থেকেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। কারণ তখন থেকেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে। আজ দুর্গাপুজোর আগে শেষ রবিবার। তাই দেদার শপিং করতে মানুষ রাজপথে নেমে পড়েছেন। বৃষ্টি এবং ভিড়ের আশঙ্কা থেকে আবার অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে। এমনকী সন্ধ্যা হলেই ভিড় বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এই আবহে শহর এখনও আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন করে ধর্ষণ করার প্রতিবাদে চলছে আমরণ অনশন। উৎসবের পরিবর্তে প্রতিবাদ চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতেই এখন পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে।


    অন্যদিকে দুর্গাপুজোর সঙ্গে যদি বিক্ষোভ–আন্দোলন সামাল দিতে হয় তাহলে সেটা হবে কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। লালবাজার সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর ভিড় সামাল দিতে প্রায় ৮ হাজার অতিরিক্ত পুলিশকর্মী নামাতে হয়েছিল শহরে। চতুর্থী থেকে রাস্তায় দেখা গিয়েছিল পুলিশের বিশাল টিমকে। সেই সংখ্যা এক ধাক্কায় এবার আরও বাড়ানো হল। ২০২৪ সালের দুর্গাপুজোয় প্রায় ১০ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নামানো হচ্ছে। তার সঙ্গে ট্র্যাফিক পুলিশের অতিরিক্ত চার হাজার কর্মী এবং সাড়ে পাঁচ হাজার হোমগার্ড দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে রাস্তায় থাকবেন।

    পুলিশ সূত্রে খবর, শহরে এবার প্রায় ২০০টি পুলিশ পিকেট বসানো হচ্ছে। প্রত্যেকটি পিকেটে কয়েকজন পুলিশকর্মী থাকবেন। এই পুলিশ পিকেটের মাধ্যমে দুটি কাজ একসঙ্গে করা যাবে। একদিকে নিরাপত্তাও জোরদার করা যাবে। অপরদিকে মিছিল, মিটিং ঠেকানো যাবে। শ্যামবাজার, আরজি কর, কলেজ স্কোয়ার, যাদবপুর–সহ একাধিক জায়গায় বড় দুর্গাপুজো রয়েছে। তাই সেই সব এলাকায় এবং আশপাশে পুলিশ পিকেট রাখা হবে। ইতিমধ্যেই মিছিল–মিটিং নিয়ে খবর রাখা শুরু হয়েছে। সেই মতো পুলিশ পিকেট রাখা হবে। এক পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘অনুমতি নেই এমন মিছিল মিটিংয়ের জন্যই সমস্যা বাড়ে। এমন সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)