• ধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্তকে পিটিয়ে মারলেন গ্রামের মহিলারা! পটাশপুরের দুই ঘটনার তদন্তে জেলা পুলিশ
    আনন্দবাজার | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
  • বধূকে ধর্ষণ করে কীটনাশক খাইয়ে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। গ্রামের মহিলাদের মারে মৃত্যু হল অভিযুক্তেরও। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করল পুলিশ। পাশাপাশি, ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, গণপিটুনিতে মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি ‘নির্যাতিতা’র বাড়ি থেকে খানিক দূরে। ওই প্রৌঢ়কে রবিবার সকালে গ্রামের মহিলারাই বাড়ি থেকে টেনে বাইরে নিয়ে যান। রাস্তায় ফেলে চলে মারধর। তার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক ঘণ্টারও বেশি মারধর করা হয় ধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্তকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে কোনও ক্রমে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। মৃতের দেহ এগরা থেকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে ময়নাতদন্তের জন্য।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশিনীকে ধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ওই ঘটনা ঘটে। সে দিনই ‘নির্যাতিতা’কে তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রবিবার ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় মহিলার। মৃত্যুসংবাদ গ্রামে পৌঁছতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ উঠছে। দুই ঘটনা প্রসঙ্গেই পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। আইনি প্রক্রিয়া মেনে ইতিমধ্যে মহিলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ (রবিবার) দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি গণপিটুনিতে মৃত ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনারও তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)