• জয়নগর কাণ্ড: কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে মৃতার ময়নাতদন্ত, জুড়তে হবে পকসো ধারাও, নির্দেশ হাইকোর্টের
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জয়নগরে মৃত নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত হবে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। কল্যাণী এইমসের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ওই ময়নাতদন্ত হবে। রবিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, এই ঘটনায় পুলিসকে পকসো ধারা যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 


    বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের কড়া পর্যবেক্ষণ, কুলতলির ঘটনায় পুলিস সঠিক ধারায় মামলা রুজু করেনি। পুলিস কেন পকসো ধারায় মামলা রুজু করল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এরপরই তিনি পুলিসকে পকসো আইনের ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।


    অন্যদিকে, আগামী কাল, সোমবার বেলা ১১.৪৫ এর  মধ্যে মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণী জেএনএম নিয়ে যেতে হবে। অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের উপস্থিতিতে সেখানে ময়নাতদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পাশাপাশি, আদালত এ-ও নির্দেশ দিয়েছে, এই মামলা সংক্রান্ত নথি এবং অভিযুক্তকে পকসো আদালতে পেশ করতে হবে। তবে এই মামলার দ্রুত বিচারের যে দাবি জানানো হয়েছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, বিচার দ্রুত হয় না। বিচার আদালতের নথির উপর নির্ভর করে।      


    জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি জানান মৃতার বাবা। সেই দাবি মেনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পুলিস। আজ, রবিবার দুপুর ২টোর সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে জরুরি ভিত্তিতে মামলাটির শুনানি হয়।


    প্রসঙ্গত, টিউশন সেরে ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে জনবিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল জয়নগরের মহিষমারি হাট এবং লাগোয়া কুলতলি থানার কৃপাখালির হালদারপাড়া মোড় এলাকা। পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত মোস্তাকিন সর্দার নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হলেও, পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। ব্যাপক ভাঙচুর করে আগুন লাগানো হয় মহিষমারি পুলিস ক্যাম্পে। চলে ইটবৃষ্টিও। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন ১২ পুলিসকর্মী। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ, পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিস।
  • Link to this news (বর্তমান)