নির্যাতিতার বাড়ির সামনে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। সেই মঞ্চেই নির্যাতিতার পরিবারের লোক ষষ্ঠীর দিন থেকে দশমী পর্যন্ত বসবেন। তাঁর বাড়িতে দুর্গাপুজো হত তবে এখন থেকে আর পুজো হবে না। ঠিক সেই কারণেই এই ধরনা মঞ্চ তৈরি করছে পরিবারের লোকেরা। এখানে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা নেতৃত্ব কে তারা আসতে দেবেন না। যদি তাঁরা আসেন মঞ্চের নিচে দাঁড়িয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এই মঞ্চে থাকবেন তাঁর পরিবারের লোকজন এমনটাই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের।
অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলো হল যথাক্রমে দীর্ঘসূত্রিতায় বিভ্রান্ত না করে দ্রুত ও স্বচ্ছতার সাথে অভয়ার ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রশাসনিক অক্ষমতা ও দুর্নীতির দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে নিতে হবে এবং স্বাস্থ্যসচিবকে অবিলম্বে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিকাল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
এছাড়াও তাঁদের আরও দাবি, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডিজিটাল বেড ভ্যাকান্সি মনিটর চালু করতে হবে। অতিদ্রুত সব কটি মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব সহ কলেজ ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠন করে প্রয়োজনমাফিক সিসিটিভি, অন কল রুম, বাথরুমের সাথে হেল্পলাইন নম্বর, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালগুলিতে পুলিশি সুরক্ষা বাড়াতে হবে। সিভিক ভলেন্টিয়ার নয়, স্থায়ী পুরুষ ও মহিলা পুলিশকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
দশ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, হাসপাতালগুলিতে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদগুলি অবিলম্বে পূরণ করতে হবে৷ প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট সিন্ডিকেটে জড়িতদের বিরুদ্ধে এনকোয়ারি কমিটি বসিয়ে তাদের শাস্তি দিতে হবে। রাজ্যস্তরেও এনকোয়ারি কমিটি তৈরী করতে হবে। অবিলম্বে রাজ্যের প্রতিটি মেডিকাল কলেজে ছাত্রসংসদ নির্বাচন করতে হবে। সব কটি কলেজে আর ডি এ কে স্বীকৃতি দিতে হবে। কলেজ/হাসপাতাল পরিচালনার সব কটি কমিটিতে ছাত্রছাত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হবে। WBMC ও WBHRB-এর অভ্যন্তরে যে ব্যাপক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ আছে তার সাপেক্ষে দ্রুত তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।