শুনানিতে প্রথমে কমান্ড হাসপাতালে কথা বিবেচনা করা হয়। কিন্তু কমান্ড হাসপাতালে তরফে জানানো হয়, তাদের হাসপাতালে কোনও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ থাকেন না। কোনও সাধারণ মানুষের ময়নাতদন্ত করানো সম্ভব নয়। শেষপর্যন্ত কল্যাণী JNM হাসপাতালে ময়নাতদবন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, 'কল্যাণী এমসের চিকিৎসকেরাই ময়নাতদন্ত করবেন। ময়নাতদন্তের সময় জেএনএম হাসপাতালের এক জন কর্মীও উপস্থিত থাকতে পারবেন না। সোমবার বেলা ১১:৪৫ মিনিটে কল্যাণী এমসে দেহ যাবে। বারুইপুর কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেটকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। শুধুমাত্র বাবা-মা চাইলে ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো দেখতে পারবেন। ময়নাতদন্ত কক্ষের বাইরে তাঁরা থাকতে পারবেন'।
এদিন হাইকোর্টে জয়নগর কাণ্ডে অভিযোগপত্রটি পড়ে শোনান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। অভিযোগপত্রের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ধর্ষণের অভিযোগের উল্লেখ। বিচারপতির মন্তব্য, 'পরের পেজে ধর্ষণের কথা কি উল্লেখ নেই? ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে কোনও শারীরিক নির্যাতনের ইঙ্গিত মিলেনি? তাহলে সেই ধারা যুক্ত নেই কেন? ইনকোয়েষ্ট কখন হয়? পকসো ধারা নেই কেন? ১০ বছর বয়স। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই পকসো মামলা হওয়ার কথা'। সঙ্গে নির্দেশ, 'যখন বাবা উল্লেখ করছে। পকসো ধারা ৬ না হলেও অন্তত ৮ নম্বর ধারা দিন'।
ঘটনাটি ঠিক কী? ন'বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন! গতকাল দিনভর উত্তপ্ত ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে মেয়ের দেহের ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন মৃতার বাবা। ফলে ময়নাতদন্ত হয়নি। এরপর আজ, রবিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। জরুরি ভিত্তিতে মামলাটির শুনানি হল হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।