কলকাতায় দোকানের নাম লেখা হোক ‘ধ্রুপদী ভাষা’ বাংলায়, আর্জি ফিরহাদের
প্রতিদিন | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
অভিরূপ দাস: সম্প্রতি ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। তার পর থেকেই কলকাতা পুরসভায় আলোচনা চলছে কীভাবে কীভাবে সর্বত্র বাড়ানো যায় বাংলা ভাষার ব্যবহার। এই পরিস্থিতিতে শহরের ব্যবসায়ীদের কাছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের আর্জি, সমস্ত দোকানের সাইনবোর্ডে প্রথম ব্যবহার করা হোক বাংলা।
বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া নিয়ে বহুদিন ধরে লড়ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাতার পর পাতা গবেষণার কাজ কেন্দ্রের দরবারে জমা দেওয়া হয়েছিল। তা অনেকবার করে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। তার পরও বাংলার মতো সমৃদ্ধ, সৃষ্টিকর্মের ভাষা ধ্রুপদী জগতে ঠাঁই পাচ্ছিল না। অনেকেই তানিয়ে বার বার মুখর হয়েছেন। এতেও বাংলার প্রতি কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’র অভিযোগও করা হয়েছিল। অবশেষে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। তার পর থেকেই কলকাতা পুরসভার অন্দরে আলোচনা চলছে, কীভাবে বাড়ানো যায় এই ভাষার ব্যবহার।
মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের কথায়, “শহরের সমস্ত ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করছি, বাংলায় যখন আমরা রয়েছি তখন দোকানের সমস্ত সাইনবোর্ডে আগে বাংলায় লিখুন নাম। তার পর হিন্দি বা যে ভাষা ভালো লাগবে তা দেবেন। সাইনবোর্ডে সবার আগে বাংলায় লেখা হলে বাংলার মানুষেরও দেখতে সুবিধা হবে। আমরা নিজেরাও গর্ব অনুভব করবে। বাঙালি হিসেবে আমি অত্যন্ত গর্বিত। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধন্যবাদ প্রাপ্য।” ফিরহাদের কথায় মুখ্যমন্ত্রীর লাগাতার প্রয়াস ছাড়া এই স্বীকৃতি সম্ভব ছিল না।