জয়নগরে পুলিশের ‘ভুল’ ধরিয়ে দিলেন মমতাই! তবে বললেন ‘২-১ টা ঘটনা নিয়ে চিৎকার করছে’
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
জয়নগর-কাণ্ডে পুলিশের ‘ভুল’ ধরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার আলিপুর বডিগার্ড লাইন থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের দুর্গাপুজো মণ্ডপের উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে ইতিমধ্যে তিনটি ফাঁসির অর্ডার হয়েছে। আমিও চাই যে কুলতলির ঘটনার ।’ আর মুখ্যমন্ত্রী যে পকসো ধারার আওতায় মামলার কথা বলেছেন, সেই ধারাটা জয়নগর মামলায় যুক্ত না করায় কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হয়েছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কিছুক্ষণ আগেই মমতার পুলিশকে সেই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন যে সুরতহাল রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিত পাওয়ার পরও কেন পকসো আইনে রুজু করা হয়নি জয়নগর মামলায়? সেই পরিস্থিতিতে পকসো আইন যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ।
হাইকোর্টের ভর্ৎসনার কিছুক্ষণ পরেই মমতা নিজেদের নিয়োজিত করেন।’
পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘আপনারা কত কাজ করেন। ফুটবল খেলাতেও আছেন। বিয়েতেও পাহারা দিতে হয়। শ্রাদ্ধেও পাহারা দিতে হয়। মৃত্যুতেও দিতে হয়। হাসপাতালেও দিতে হয়। বড় খেলাতেও দিতে হয়। পুজোর সময় দিন-রাত জেগে পাহারা দিতে হয়। সব ব্যাপারেই, বন্যাত্রাণেও অনেক কাজ করেছেন আপনারা। মানুষের কাছে আপনারা বন্যার ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন নৌকায় করে গিয়ে।’
তারপর কিছুটা আক্ষেপের সুরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই কাজগুলো কেউ মনে রাখে না। হাজারটা কাজের মধ্যে একটু ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে অজ্ঞাতভাবে, সেটাকে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে। উলটো-পালটা কথা বলে। কুৎসা করে। চক্রান্ত করে। অপপ্রচার করে।'
সেই রেশ ধরেই জয়নগরে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'দু'একটা ঘটনা কখনও কখনও ঘটে গেলে বাংলায়, চিৎকার-চেচামেঁচি-হাহাকার বেশি হয়। করা উচিত। অধিকার আছে। কিন্তু অন্য জায়গায় যখন সব ঘটনাগুলো ঘটে, তখন মুখে সব লিউকোপ্লাস্টার দিয়ে থাকে। একটা প্রতিবাদ করে না। কেউ কি কখনও ইচ্ছা করে কোনও ঘটনা ঘটায়? কেউ কখনও ইচ্ছা করে কোনও ঘটনা ঘটায় না।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন যে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার যেন নিয়ে পুলিশ।