সংবাদদাতা, কাটোয়া: রাস্তা তো নয়, যেন পাহাড়ের চড়াই-উতরাই। কাটোয়া-কড়ুই রাস্তার পাঁচঘড়া এলাকায় গেলে সবার এমনটাই মনে হবে। তাই পুজোর আগে দুর্ঘটনা এড়াতে কাটোয়া-কড়ুই বাস রাস্তার পাঁচঘড়া থেকে পঞ্চাননতলা পর্যন্ত অংশে খানাখন্দ বোজানো শুরু করল পূর্তদপ্তর। আপাতত ‘ব্রিক স্টিচিং’ দিয়ে খানাখন্দ বোজানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে রায়েরপাড়ায় রাস্তার ধারে পূর্তদপ্তরের জায়গা দখল করে তৈরি মাছের আড়ত, মুরগির দোকান সরানো হয়েছে। পূর্তদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পার্থসারথি কুণ্ডু বলেন, রাস্তায় আপাতত মেরামত করা হচ্ছে। রায়েরপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে কিছু বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে। সেখানে আমরা নিকাশিনালা তৈরি করে দেব। যাতে বর্ষায় রাস্তায় জল জমে না থাকে। পরবর্তীকালে পুরো রাস্তাটিই আমরা সংস্কার করব। তার ডিপিআর পাঠানো আছে।
রবিবার পুলিসের সঙ্গে কাটোয়ার রায়েরপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন কয়েকটি মাছের আড়ত দেখতে পান। পূর্তদপ্তরের জায়গা দখল করে সেগুলি চলছিল। তার জেরে রাস্তায় মাছের আড়তের জল জমে নরককুণ্ড হয়ে গিয়েছিল। সেসব বেআইনি নির্মাণ আর্থমুভার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। মীর আমের আলি নামে এক ব্যবসায়ীও সরকারি জায়গায় প্রায় ১০বছর ধরে মুরগির দোকান চালাচ্ছিলেন। সেই দোকানও ভেঙে দেওয়া হয়। ওই রাস্তার ধারে থাকা অন্য বেআইনি নির্মাণও ভাঙা হবে বলে পূর্তদপ্তর জানিয়েছে।
কাটোয়া থেকে কড়ুই অবধি রাস্তার দৈর্ঘ্য ১৪ কিমি। এর মধ্যে পাঁচঘড়ার রায়েরপাড়ায় বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া রাস্তার পিচ অনেক আগেই উঠে গিয়েছে। প্রায় মেঠো রাস্তায় পরিণত হয়েছে। সেখানে বড় বড় ইট বেরিয়ে রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে সেখান দিয়েই বাস চলাচল করছে। সেখান দিয়ে রোগী, আসন্নপ্রসবাদের নিয়ে যাওয়া বিপজ্জনক।
তাই আপাতত পাঁচঘড়া থেকে পঞ্চাননতলা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত কিমি রাস্তার খানাখন্দ বোজানো হবে। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। পরে পুরো রাস্তা সংস্কার হবে। তার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। পূর্তদপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, আসলে রাস্তার ধারে পর্যাপ্ত নিকাশিনালা না থাকায় বর্ষায় জল ঠিকমতো বের হয় না। সেজন্যই রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে। এবার সমস্যা মেটানো হবে।-নিজস্ব চিত্র