কালনায় ফেরিঘাটে ভারী গাড়ি পারাপারে চাপ, শহরে যানজট
বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, কালনা: নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তার জেরে কালনা-শান্তিপুর ফেরিঘাটে ভারী গাড়ি পারাপারের ব্যাপক চাপ পড়ছে। শহরে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে একের পর এক ট্রাক। পুজোর মুখে যানজটে মানুষ নাকাল হচ্ছেন। যানজট নিয়ন্ত্রণে কয়েক জায়গায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। তবে যানজট মেটাতে পুলিসকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কালনা ফেরিঘাটের ম্যানেজার জয়গোপাল ভট্টাচার্য বলেন, লোহার ভেসেলে ৫০ টন ওজনের গাড়ি পারাপার করা হয়। দু’টি ভেসেলেই গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। কালনা ও শান্তিপুর-উভয় দিক থেকে গাড়ি পারাপারের চাপ রয়েছে। আমরা সতর্কতার সঙ্গে রাতদিন পারাপার করছি।নবদ্বীপের ভাগীরথী নদীর উপর গৌরাঙ্গ সেতুতে ফ্লোটিং স্ল্যাবের জয়েন্টে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেজন্য ওই সেতু দিয়ে পণ্যবাহী ভারী যান চলাচলে প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বর্ধমান থেকে নদীয়ার দিকে কৃষ্ণনগর ও শান্তিপুরে যাতায়াতের সহজ পথ নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতু ও কালনা ফেরিঘাট। গৌরাঙ্গ সেতু দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় একমাত্র উপায় কালনা ফেরিঘাটের দু’টি লোহার ভেসেলে পারাপার। ওই ভেসেলে একসঙ্গে ৫০টন ওজনের গাড়ি পারাপার সম্ভব। তাই ফেরিঘাটে ভারী যান পারাপারে ব্যাপক চাপ পড়েছে। আর ফেরিঘাট পেরোতে গেলে কালনা শহরের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। ফলে শহরেও যানজট বাড়ছে। শহরের কালনা মিশন রোড, খেয়াঘাট রোডে সারি সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়ছে। তার সঙ্গে রয়েছে ছোট গাড়ি, মোটরভ্যান প্রভৃতি। লোডিং ও আনলোডিং প্রক্রিয়া সহ একটি ভেসেল পারাপারে ১৫-২০ মিনিট সময় লেগে যাচ্ছে। তাই পুজোর মুখে শহরে যানজট দেখা দিয়েছে। কালনা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল বলেন, নবদ্বীপের সেতু দিয়ে ভারী গাড়ি না যাওয়ায় ফেরিঘাটের ভেসেলে পারাপারে চাপ পড়েছে। নির্দিষ্ট ওজনের বেশি যান নিয়ে পারাপার করা যায় না। তাই একে একে ট্রাক পার করায় যানজট দেখা দিচ্ছে। পুলিস যানজটের বিষয়টা দেখছে। -নিজস্ব চিত্র