সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: প্রায় দু’মাস পর আজ, সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবায় যোগ দিচ্ছেন পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তাররা। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তাররা। তার জেরে প্রায় দু’মাস ধরে আউটডোরে আসা রোগীরা চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন। অনেকে ডাক্তার না দেখিয়ে ফিরেও গিয়েছেন। নাজেহাল হওয়ার ভয়ে দূরদূরান্তের মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই সময়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য আসেননি। হাতেগোনা কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তার আউটডোর সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন।
এদিকে আউটডোর পরিষেবা থেকে কর্মবিরতি তুলে নিলেও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তাররা। তারই অঙ্গ হিসেবে তাঁরা রবিবার ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসলেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এদিন সকাল ১০টায় তাঁরা প্রতীকী অনশন শুরু করেন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য কৌস্তভ চক্রবর্তী বলেন, রবিবার আমরা ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছি। সোমবার থেকে আমাদের আমরণ অনশন শুরু হবে। তবে আমরণ অনশন সকলে বসব না। রোগীদের স্বার্থে আউটডোর ও অন্যান্য পরিষেবা সচল রাখার জন্য আমাদের কয়েকজন আমরণ অনশনে বসবেন। ১০ দফা দাবিতে প্রায় দু’মাস ধরে কর্মবিরতি চালিয়ে এলেও অনেক দাবি এখনও পূরণ হয়নি। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার বেশিরভাগ বাস্তবায়ন হয়নি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও একই অবস্থা। ওয়ার্ডে ডাক্তারদের রেস্টরুম, স্বাস্থ্যকর টয়লেটের ব্যবস্থা হয়নি। সিসি ক্যামেরা, নিরাপত্তার অন্যান্য দিক সহ সব দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত পুরোপুরি বাস্তবায়িত হচ্ছে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।
আর জি কর কাণ্ডের পরপরই স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, সেই টাকায় আমরা ৩২টি সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি। স্টেক হোল্ডার মিটিংয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রস্তাব মতো আরও ১৬টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। টয়লেট, রেস্টরুমের কাজও প্রায় শেষের পথে। নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিস মোতায়েন হয়েছে। প্রাইভেট সিকিউরিটি গার্ডদের পুলিসের তরফে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।