• অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, চাঁদার নামে জুলুম, ব্যবসায়ীকে মারধর
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়িতে চাঁদার জুলুমবাজির অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে রবিবার ময়নাগুড়ি থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক মাছ ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত সাপ্টিবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আরাফত হোসেন। তিনি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস। এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে সাপ্টিবাড়ি-২ পঞ্চায়েতের সুস্থিরহাট এলাকায়। 


    অভিযোগ, মধ্য শালবাড়ির জল্পেশ মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা পরিতোষ রায় একজন মাছ ব্যবসায়ী, তিনি সুস্থিরহাট এলাকায় শনিবার দোকান করছিলেন। সেই সময় স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা তাঁর কাছে বিপুল পরিমাণ চাঁদার দাবি করে। পরিতোষবাবু ক্লাব সদস্যদের জানান এত টাকা চাঁদা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ, এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ক্লাবের সদস্যরা। তাঁরা পরিতোষবাবুর উপর চড়াও হন। মাছের দোকান তুলে রাস্তায় ফেলে দেয়। দোকানে থাকা ১০ হাজার টাকা লুটও হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মারধর করে দোকানের যাবতীয় সরঞ্জাম ক্লাব সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। 


    পরিতোষবাবু বলেন, ক্লাব সদস্যদের মধ্যে একজনকে আমি চিনতে পেরেছি। তাঁর নাম আরাফত হোসেন। শনিবার ঘটনার পর আমি ময়নাগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। রবিবার ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এনিয়ে আরাফাত হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, একটি ঝামেলা হচ্ছিল। আমি মিটমাট করার চেষ্টা করেছি। কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হল বুঝতে পারছি না। ক্লাব সম্পাদক জয়দেব বর্মন বলেন, একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে কি হয়েছে জানি না, কারণ আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, এমন ঘটনা হয়ে থাকলে নিন্দনীয়। আমি ঘটনার খোঁজ নিচ্ছি।


    এনিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক চঞ্চল সরকার বলেন, তৃণমূল কাটমানি, তোলাবাজির দলে পরিণত হয়েছে। সেকারণেই তারা গায়ের জোরে টাকা তোলা থেকে ছিনতাই করছে। প্রশাসনের উচিত ওই নেতার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। তা না হলে তাদের অত্যাচার দিনকে দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। একজন অসহায় মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে এমন ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, আমরা সমিতিগতভাবেও চাইছি প্রশাসন দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করুক। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 


    (অভিযোগ পত্র হাতে থানার বাইরে মাছ ব্যবসায়ী। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)