• আর জি কর কাণ্ডে রহস্যের উত্তর খুঁজছে সিবিআই,  আউটপোস্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ  প্রকৃত সময়ের থেকে ৪ মিনিট এগিয়ে
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালের আউটপোস্টের সিসি ক্যামেরার সময় চার মিনিট এগিয়ে রাখা কেন, এই নিয়ে এবার নতুন করে রহস্য তৈরি হল। লালবাজারের তরফে যে নথি তুলে দেওয়া হয়েছে  সিবিআইয়ের কাছে, সেখানে এই বিষয়টির স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা এই নথি (সিজার লিস্ট) শিয়ালদহ আদালতে জমা দিয়েছে এজেন্সি। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের দিন অর্থাৎ ৯ আগস্ট ক্যামেরার টাইম বদলানো হয়েছিল কি না, সেটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে আউটপোস্টের পুলিস কর্মীদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা।


    আদালতে সিবিআইয়ের জমা দেওয়া নথি থেকে জানা যাচ্ছে, ১১ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালের আউটপোস্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছিল কলকাতা পুলিস। সিজার লিস্টে বলা হয়েছে, থার্ড ফ্লোরে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কলকাতা পুলিস সংগ্রহ করেছে। এই ক্যামেরাটি গোটা পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের ঢোকার জায়গাটিতে নজরদারি চালাত। পূর্বদিকে মুখ করে বসানো এই ক্যামেরায় ঘটনার আগের দিন ও পরে কারা কারা সেখানে এসেছিল তার ছবি ধরা পড়েছে। সিজার লিস্টের নথিতেই বলা হয়েছে ওই ক্যামেরাটি রিয়াল টাইমের চাইতে চার মিনিট আগে চলছিল। 


    এই নথি দেখার পরই তদন্তকারীদের সন্দেহ জাগে। নিয়মমাফিক ক্যামেরার টাইম ঘড়ির সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে চলবে। যাতে কোনও ঘটনা ঘটলে সিসি ক্যামেরার টাইমিংয়ের আসল সময়ের ফারাক না হয়। আর জি কর আউটপোস্টের এই ক্যামেরা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তদন্তকারী এক অফিসারের কথায় সিসি ক্যামেরার সময়ের সঙ্গে অন্য টাইমিংয়ের ফারাক হওয়ায় বিচারপর্বে তার প্রভাব পড়বে। এই ফাঁককে ব্যবহার করে অভিযুক্ত বাড়তি সুবিধা পেয়ে যেতে পারে। সেই কারণেই তদন্তকারীরা দেখছেন, এই টাইম বাড়ানো কবে থেকে হয়েছিল এবং কে নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন। যেহেতু হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতেন, তাই এক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা কী ছিল, সেটাও তদন্তকারীদের আতসকাচের তলায়। এই বিষয়ে জানতে আউটপোস্টে কর্তব্যরত পুলিস কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা জানিয়ে গিয়েছেন ক্যামেরা বসানো ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আলাদা একটি সংস্থা রয়েছে। তারাই এই বিষয়টি দেখভাল করে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ৯ আগস্টের কয়েকদিন আগে ক্যামেরার কাজ হয়েছিল। তখনই এই সময় এগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, সময়ের ফারাক তৈরি করতেই কি সন্দীপ ঘোষের নির্দেশমতো এই পরিকল্পনা হয়েছিল? তারই উত্তর খুঁজছে এজেন্সি। 
  • Link to this news (বর্তমান)