• জল দাঁড়িয়ে আছে প্রায় এক মাস, পুজোর মুখেও গৃহবন্দি দেগঙ্গার ৩ পঞ্চায়েতের শতাধিক পরিবার
    বর্তমান | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা ও কয়েকদিন আগের টানা বৃষ্টির জেরে এখনও জলমগ্ন দেগঙ্গার বিস্তীর্ণ এলাকা। তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি গ্রামে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে একইভাবে। পুজোর মুখে কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে কয়েকশো পরিবারকে। মানুষের এই দুর্ভোগ নিয়ে প্রশাসনের কার্যত কোনও হেলদোল নেই বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সমাধানের পথ চেয়ে বসে আছেন তাঁরা। 


    দেগঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে পদ্মা খাল। যমুনা নদীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এই খাল। পদ্মা খালের সঙ্গে যোগ রয়েছে দেগঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একাধিক বাঁওড়ের। দীর্ঘদিন ধরে পদ্মাখালের সংস্কার হয়নি। এমনকী, খালের কোথাও কোথাও জবরদখল হয়ে গিয়েছে। ফলে গতি হারিয়েছে খাল ও বাঁওড়। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সমস্যা আরও বেড়েছে। এই কারণে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দেগঙ্গার চাকলা, কলসুর ও চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে। কলসুরের বাসিন্দা মৌসুমি মৃধা, বাসন্তী মৃধারা বলেন, ‘এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আমরা জলবন্দি। বাড়ির উঠোনে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই যন্ত্রণার হাত থেকে কবে মুক্তি ঘটবে, জানি না। পুজোয় সবাই যখন আনন্দে ঠাকুর দেখতে যাবে, তখন আমরা এভাবেই জলবন্দি হয়ে থাকব!’ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। পদ্মা খালের সংস্কার না হওয়াতেই এই অবস্থা বলে জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুরের বাসিন্দা সুধীর দাস বলেন, ‘পুজোতে আমাদের বাড়িতেই আটকে থাকতে হবে। যেভাবে চারপাশে এখনও জল থৈ থৈ করছে, তাতে আমাদের পুজো বলে আর কিছু নেই।’ 


    চাকলার বল্লভপুরের বাসিন্দা হিমাদ্রি চৌধুরীর কথায়, ‘আমাদের গোটা এলাকা জলমগ্ন। খাল সংস্কার না হওয়ায় এবং বাঁওড়ের একাংশ দখল হয়ে যাওয়াতেই এই সমস্যা।’ এনিয়ে দেগঙ্গার বিডিও ফাহিম আলম বলেন, ‘ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকা পরিদর্শন হয়েছে। কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি ত্রাণ শিবির করে দুর্গতদের রাখা হয়েছে। চাকলা ও চৌরাশি এলাকাতেও ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাল উপচেই এলাকায় জল ঢুকেছে।’ - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)