রেক রক্ষণাবেক্ষণের কারণে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ময়দানের মধ্যে দৈনিকট্রেনের সংখ্যা সাময়িক ভাবে ১৩০টি থেকে কমানো হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ১১৮টি করা হয়। তবেপুজোর আগে ভিড়ের কারণেশনিবার থেকে ওই পথে মেট্রোর সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩০টি করা হয়েছে।রবিবার ৮২টি ট্রেন চললেও আজ, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দিনে ১৩০টি ট্রেন চলবে। বৃহস্পতিবার থেকে পুজোর সূচি মেনে চলবে মেট্রো। পুজোর দিনে এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ময়দানের মধ্যে দুপুর দেড়টা থেকে রাত ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পরিষেবা মিলবে।
পুজোর দিনে বিভিন্ন স্টেশনের ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার থেকে কিউ আর কোডনির্ভর কাগজের টিকিট দেওয়া হবে। ভিড় বেশি হয়, এমন স্টেশনে বিশেষ টিকিট বুকিং টার্মিনাল হাতে টিকিট বিক্রি করবেন মেট্রোকর্মীরা। দক্ষিণেশ্বর, দমদম, বেলগাছিয়া, শোভাবাজার-সুতানুটি, এসপ্লানেড, রবীন্দ্র সদন, যতীন দাস পার্ক, কালীঘাট স্টেশনে বিশেষ টার্মিনাল ব্যবহার করে টিকিট কাটার সুবিধা মিলবে। হাওড়া ময়দান ও হাওড়া স্টেশনেও ওই ব্যবস্থায় টিকিট মিলবে। কলকাতা মেট্রোয় মোট ২৩টি এমন টার্মিনাল আনা হয়েছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছেন, সপ্তমী থেকে নবমীর ভোর পর্যন্ত মিলবে মেট্রো। ষষ্ঠী এবং দশমীতে মেট্রো পাওয়া যাবে মাঝরাত পর্যন্ত।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চতুর্থী থেকেই মেট্রোর সূচি পরিবর্তন হচ্ছে। ত্রয়োদশী পর্যন্ত পরিবর্তিত সূচিতে চলবে মেট্রো। পুজোর সময় গভীর রাত পর্যন্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম চলবে ট্রেন। চতুর্থী, পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে আপ এবং ডাউন মিলিয়ে মেট্রো চলবে ২৮৮টি। সপ্তমী থেকে নবমী ওই শাখায় চলবে ২৪৮টি ট্রেন। দশমীতে ১৭৪, একাদশীতে ১৩০টি পরিষেবা পাওয়া যাবে। দ্বাদশী এবং ত্রয়োদশীতে আপ এবং ডাউন লাইন মিলিয়ে ট্রেন চলবে ২৩৬টি।
চতুর্থী এবং পঞ্চমীতে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী প্রথম মেট্রো মিলবে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। দমদম থেকেও একই সময়ে ছাড়বে প্রথম মেট্রো। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত প্রথম মেট্রো সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। আর দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টা নাগাদ। দমদম এবং কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।
ষষ্ঠীতে প্রথম মেট্রোর সূচিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে শেষ মেট্রো চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ যাওয়ার শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে। আর কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ মেট্রো মিলবে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। অন্য দিকে, দমদম এবং কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১২টায়।
শুধু ব্লু লাইনে নয়, গ্রিন (১ এবং ২), পার্পল এবং ওরেঞ্জ লাইনের সূচিও জানিয়েছেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ৫ শাখায় চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। সেক্টর ৫ থেকে শিয়ালদহ- সকাল ৭টা ০৫ মিনিটে। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে যথাক্রমে রাত ৯টা ৩৫ মিনিট এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। সপ্তমী থেকে দশমী ওই লাইনে প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে দুপুর ১টা থেকে। শেষ মেট্রো রাত সাড়ে ১১টা। দশমীতে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। তবে প্রথম মেট্রো দুপুর ২টো থেকে পাওয়া যাবে।
এসপ্ল্যানেড এবং হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো সুচিতেও কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত ওই শাখায় প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে সকাল ৭টায়। শেষ মেট্রো মিলবে রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে। সপ্তমী থেকে নবমী প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে দুপুর ১টা থেকে। তবে শেষ মেট্রো মিলবে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে। দশমীতে দুপুর ২ টোয় প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে। আর শেষ মেট্রো রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। জোকা - মাঝেরহাট লাইনে চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত মেট্রো চলবে। সপ্তমী থেকে একাদশী পর্যন্ত এই শাখায় কোনও পরিষেবা পাওয়া যাবে না। অন্য দিকে, কবি সুভাষ থেকে রুবি শাখাতে একই সময়ে পরিষেবা মিলবে। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী জোকা-মাঝেরহাট লাইনে প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে সকাল সাড়ে ৮টা এবং শেষ মেট্রো দুপুর সাড়ে তিনটেতে পাওয়া যাবে।