সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়: চারিদিকে শুধু ম ম করছে পুজোর গন্ধ। পিতৃপক্ষের অবসান আর মাতৃপক্ষের সূচনার যে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। নদিয়া জেলার কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের পুজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ। লুমিনাস ক্লাবের পুজো এবার ৩২ বছরে পা দিল। থাইল্যান্ডের বুদ্ধমন্দিরের আদলে সেজে উঠছে এখানকার মণ্ডপ। সাবেকি প্রতিমা এবং লক্ষ লক্ষ সামুদ্রিক ঝিনুকের কারুকার্যে অলঙ্কৃত হবে মণ্ডপের ভেতরের সাজসজ্জা। একটি জুয়েলারি সংস্থার সোনার গহনা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্ত্তিক ও গণেশকে। প্রায় চারমাস ধরে ১০০ জন কর্মী দিনরাত এক করে এই মণ্ডপসজ্জার কাজ করে চলেছেন।
মহালয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী এই পুজোর ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধন করেন। তারপরই মণ্ডপের প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। প্রতিবছরের মত এবারও বিভিন্ন জেলা, বা রাজ্যের এবং ভারতবর্ষ বা দেশের বাইরে থেকেও যেসমস্ত দর্শনার্থী আইটিআই মোড়ের প্রতিমা দর্শন করতে আসবেন তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুজো কমিটি। সে জন্য প্রশাসনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠকও করেছে কমিটি।
মহালয়ার দিন থেকেই এই পুজো মণ্ডপকে কঠোর নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হবে। পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও যেকোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত থাকবে দমকলবাহিনী। এই পুজোর একটি বিশেষ আকর্ষণ হল এখানে প্রচুর খাবারের স্টল থাকে। ফলে পুজো দেখার সঙ্গে পেট পুজোটাও এখান থেকে সেরে নেওয়া যায়।
স্থানীয়দের মতে, দুর্গাপুজো মানেই কলকাতার পুজো এই ধারণাটাই অনেকটা বদলে দিয়েছে কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের পুজো। প্রতিবছরের মতো এবারও কিছু আলাদারকম চোখধাঁধানো চমক থাকছে এই পুজোতে। ফলে এই পুজো যে ভিড় টানবে সে সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী উদ্যোক্তারা।