এই সময়, গড়চুমুক: পুজোর ঠিক মুখেই সুখবর। পর্যটকদের জন্য পুজোর উপহার নিয়ে এলেন গড়চুমুকের মিনি জ়ু কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে দুটি গ্রিন ইগুয়ানা (সবুজ তক্ষক) এসেছে। এই ইগুয়ানা দু’টিকে গড়চুমুক চিড়িয়াখানায় পর্যবেক্ষণের জন্য সংরক্ষিত জায়গায় রাখা হয়েছে। পুজোর সময়ে দর্শনার্থীরা যাতে দেখতে পান, সে কথা মাথায় রেখেই গ্রিন ইগুয়ানা দু’টিকে নিজস্ব এনক্লোজ়ারে রাখা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।নিয়ম অনুযায়ী নতুন পশুপাখি নিয়ে আসা হলে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। সেই মতো গ্রিন ইগুয়ানা দু’টিকে আপাতত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রেই রাখা হয়েছে। তারপর তা পর্যটকদের দেখার জন্য এনক্লোজ়ারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি হিসেবে এরপর বেঙ্গল টাইগার, লেপার্ড ক্যাট, ওয়াটার মনিটর লিজার্ড, লেজ়ার ক্যাট আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
সে কথা মাথায় রেখে গড়চুমুক মিনি জ়ু কর্তৃপক্ষ জায়গা ঠিক করে রেখেছেন। এই সব প্রাণী আনার বিষয়টি এখনও প্রস্তাবিত তালিকায় রয়েছে। তবে খুব শিগগিরই জ়ু-তে এদের দেখার সুযোগ মিলবে বলে জানা গিয়েছে। আগে এখানে ছিল হরিণ, সজারু, ময়ূর। এরপর ডিয়ার পার্ক থেকে মিনি জ়ু-এ রূপান্তরিত হয়ে একের পর এক অসংখ্য প্রজাতির পশু-পাখি আনা হয়েছে। তৈরি হয়েছে প্রাণীদের রাখার জন্য একাধিক এনক্লোজ়ার। চিডি়য়াখানা রক্তৃপক্ষ জানালেন এনক্লোজ়ারের সংখ্যা ২৪।
মিনি জ়ুতে রূপান্তরিত হয়ে এখানে রয়েছে রাজ্যপ্রাণী বাঘরোল, বনবিড়াল, রক পাইথন, এমু, ম্যাকাও, লেসার হুইস্লিং ডাক, ফ্রেজান্ট, মণিপুরী নাচুনে হরিণ, নীলগাই-সহ বিভিন্ন প্রজাতির এয়ার ও ওয়াটার বার্ড। এ বার সেই তালিকায় সংযোজিত হতে চলেছে ইগুয়ানা। বনদপ্তর ১২.৪৩ হেক্টর জায়গা জুড়ে গড়চুমুকের জিওলজিক্যাল গার্ডেন বা মিনি জ়ু তৈরি করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল গড়চুমুক মিনি জ়ু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি মিনি জ়ু-এর উদ্বোধন করেন। করোনার সময়ে বন্ধ হয়ে যায় এই জ়ু-এর দরজা। করোনার পর থেকে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে এই মিনি জ়ু-এ নতুন নতুন পশু আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
একের পর এক নতুন পশুপাখি আসায় খুশি এলাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কথায় যত চিড়িয়ানার সদস্য সংখ্যা বাড়বে তত পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। ততই বাড়বে ব্যবসা। পুজোর মুখে গ্রিন গ্রিন ইগুয়ানা পর্যটকদের সংখ্যা বাড়াবে বলেই আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।