বিমান বসুর ভাইরাল-রেস্তোরাঁ ছবি নিয়ে মুখ খুললেন হোটেল কর্তৃপক্ষ
এই সময় | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
নিলয় ভট্টাচার্য্য, শীর্ষেন্দু দেবনাথ | এই সময় অনলাইন
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় নানাভাবে প্রতিবাদ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। এই পরিস্থিতিতে ৪ অক্টোবর, শুক্রবার রাত থেকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি রেস্তোরাঁর টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে প্রবীণ বাম নেতা। কিছুটা পিছনে কয়েকটি টেবিলে অন্য অতিথিরা খাওয়া-দাওয়া করছেন। আর তা শেয়ার করে অনেকেই লেখা শুরু করেন, ‘উৎসবে ফিরব না, শুধু রেস্তোরাঁয় খেতে যাব।’ তৃণমূল কর্মীদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতেও দেরি করেননি।খানিক রাশ টানেন তৃণমূলেরই প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। এই ছবি প্রসঙ্গে ফেসবুকে লেখেন, ‘বিমান বসুকে নিয়ে শুক্রবার রাত থেকে এই ছবি এবং বিভিন্ন মন্তব্যের পোস্ট ঘুরছে। সাধ্যমতো আমি আপত্তি জানিয়েছি। আমার মন্তব্যের পরে একাধিক ফেসবুক-বন্ধু বিমানদাকে নিয়ে এই পোস্ট ডিলিট করেছেন।’ সেই ছবির কথা উল্লেখ করে তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘আমার মনে হয় দূরপাল্লার কোনও যাত্রার মাঝে এটা কোনও দোকান। নদিয়া জেলা হতে পারে। বিমানদা এখন কোনও রেস্তোরাঁয় খেতে যাবেন, এটা অসম্ভব। ছবিটা কবেকার, তা অবশ্য জানি না। দূরের যাত্রা হলে মাঝপথে কোথাও বসাটা স্বাভাবিক।’
কিন্তু সত্যিটা কী? কুণাল ঘোষের অনুমান ভুল নয়। জানা গিয়েছে, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভা উপলক্ষ্যে শুক্রবার বহরমপুরে যাচ্ছিলেন বিমান। কলকাতা থেকে বহরমপুরে যাওয়ার পথে কৃষ্ণনগরের ‘শংকর’ হোটেলে বাথরুম করতে নামেন তিনি। কলকাতা থেকে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার (বহরমপুর) এই পথে অনেক গাড়িই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে এই হোটেলে দাঁড়ায়। শুক্রবার সন্ধ্যা এবং ৫ অক্টোবর, শনিবারও (ফেরার পথে) ঠিক একইভাবে ওই হোটেলের সামনে গাড়ি দাঁড়ায় তাঁর। বাথরুমে যাওয়ার পর চিনি ছাড়া এক কাপ কফি খান তিনি।
হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে গোপাল সরকার এই সময় অনলাইন-কে বলেন, ‘দু’দিনই তিনি এসেছিলেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট বসেছিলেন। এক কাপ কফি খেয়ে তিনি চলে গেলেন। অন্য কিছু তিনি খাননি।’ তাঁকে কফি বানিয়ে দিয়েছিলেন হোটেলের রাঁধুনি মিঠুন দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘আমিই কফি বানিয়ে দিয়েছিলাম। আর কিছু তো উনি খেলেন না।’
নদিয়া জেলার সিপিএম নেতা সুমিত বিশ্বাস বলছেন, ‘এটা হচ্ছে তৃণমূলের নিম্ন রুচির পরিচয়। দীর্ঘ রাস্তা যাওয়ার পথে মাঝে দাঁড়িয়ে কেউ এক কাপ চা খাবেন, আর সেটাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি! এটা একমাত্র তৃণমূলকেই মানায়।’