গণধর্ষণ নয়। আরজি কর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত একজন-ই, সঞ্জয় রায়। এই মর্মেই আরজি কর-কাণ্ডে আজ সিবিআই চার্জশিট পেশ করেছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। শিয়ালদহ আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয় ট্রেইনি ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ। এই ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় পড়ে যায়। এমনকি বিদেশেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রেইনি ডাক্তারকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিসে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। এবার ঘটনার প্রায় ২ মাসের মাথায়, ৫৮ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট পেশ করল সিবিআই।
আরজি করের মৃত চিকিত্সক-পড়ুয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে ২৫টিরও বেশি গভীর ক্ষতের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেখানে ১৬টি বাহ্যিক আঘাত আর ৯টি অভ্য়ন্তরীণ আঘাত। নির্যাতিতার মাথা, মুখ, ঠোঁট, চোখ, ঘাড়, হাত, যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষতের উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট নির্যাতিতার উপর কী ভয়াবহ ও নারকীয় নির্যাতন চলেছে। সাইকোমেট্রিক টেস্টে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের 'অ্যানিমাল ইনস্টিংক্ট' বা 'হিংস্র জন্তুর মতো প্রবৃত্তি'র প্রমাণ মেলে। সাইকোমেট্রিক টেস্টের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্তকারী থেকে মনস্তত্ত্ববিদরা একটি বিষয়ে নিশ্চিত হন যে ধৃত সঞ্জয় বিকৃত যৌনতায় আক্রান্ত।
চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে অপরাধ বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে হয়, 'সেক্সুয়ালি পারভারটেড'। সিবিআই সূত্রে খবর, সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় গোটা পর্বেই সে আবেগহীন অবস্থায় ছিল। অনুশোচনার কোনও লক্ষ্মণও তার মধ্যে দেখা যায়নি। এমনকি এই ঘৃণ্য অপরাধের বর্ণনা সে নাকি নিজেই দিয়েছে। এই ঘটনার পর ১৪ অগাস্ট রাতে 'রাত দখল'-এর ডাক দেন প্রতিবাদী থেকে সাধারণ মানুষ। সেই দিন রাতেই আরজি করে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩ হাজার দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাদের লক্ষ্য ছিল সেমিনার রুম।