দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রেইনি ডাক্তারকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিসে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। এবার ঘটনার প্রায় ২ মাসের মাথায়, ৫৮ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। আরজি করের মৃত চিকিত্সক-পড়ুয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে ২৫টিরও বেশি গভীর ক্ষতের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেখানে ১৬টি বাহ্যিক আঘাত আর ৯টি অভ্য়ন্তরীণ আঘাত। নির্যাতিতার মাথা, মুখ, ঠোঁট, চোখ, ঘাড়, হাত, যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষতের উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট নির্যাতিতার উপর কী ভয়াবহ ও নারকীয় নির্যাতন চলেছে। সাইকোমেট্রিক টেস্টে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের 'অ্যানিমাল ইনস্টিংক্ট' বা 'হিংস্র জন্তুর মতো প্রবৃত্তি'র প্রমাণ মেলে।
সাইকোমেট্রিক টেস্টের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্তকারী থেকে মনস্তত্ত্ববিদরা একটি বিষয়ে নিশ্চিত হন যে ধৃত সঞ্জয় বিকৃত যৌনতায় আক্রান্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে অপরাধ বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে হয়, 'সেক্সুয়ালি পারভারটেড'। সিবিআই সূত্রে খবর, সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় গোটা পর্বেই সে আবেগহীন অবস্থায় ছিল। অনুশোচনার কোনও লক্ষ্মণও তার মধ্যে দেখা যায়নি। এমনকি এই ঘৃণ্য অপরাধের বর্ণনা সে নাকি নিজেই দিয়েছে। যদিও ধৃত সঞ্জয় পলিগ্রাফ টেস্টে তদন্তকারীদের কাছে দাবি করে যে, সে যখন চারতলার ওই সেমিনার রুমে পৌঁছায়, তখন আগে থেকেই নির্যাতিতা সেখানে মৃত অবস্থায় ছিল! সে মারেনি, বরং ভয়ে সে হাসপাতাল চত্বর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
সিবিআই-এর চার্জশিটের প্রসঙ্গ সামনে আসার পরই কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন-