নন্দন দত্ত, সিউড়ি: উৎসবের মুখে ফের আঁধারে ঢাকল বীরভূমের খয়রাশোল। চতুর্থীর সকালে খয়রাশোলের ভাদুলিয়ার গঙ্গারামচক কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হল অন্তত ৭ শ্রমিকের। খনির ভিতর থেকে প্রথমে ৫ জেরে দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর মেলে। আরও কেউ খনির ভিতরে আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা। উদ্ধারকাজ চলছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তাঁদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে গঙ্গারামচক কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। কিন্তু ভিতরে শ্রমিকরা যে কাজ করছিলেন, তা খেয়াল ছিল না কারও। আর সেই অসাবধানতা থেকেই শ্রমিকরা চাপা পড়ে যান। পরে ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয় সেখান থেকে। পরে আরও দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর খনির উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই মুহূর্তে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের এই খনিটি পিডিসিএলের লিজ নেওয়া। তা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা। সেই খনিতেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল। নেহাৎই অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটল? কয়লা উত্তোলনের জন্য বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় ভিতরে কেউ রয়েছে কি না, তা দেখা হল না কেন? এর দায় কার? এসব প্রশ্ন উঠছেই। তবে বেশি সন্দেহজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকা ছেড়ে খনি কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের চলে যাওয়া। তবে কি বিস্ফোরণের নেপথ্য়ে কোনও ষড়যন্ত্র আছে? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্ধারকাজ এবং সেইসঙ্গে এলাকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে এই বীরভূমেই খনিতে ধস নেমে মৃত্যু হয়েছিল তিন শ্রমিকের। আর এবার বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭ জনের। সেই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা।