ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: অভয়ার সুবিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলায় আমরণ অনশনে ৭ চিকিৎসক। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চমীর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে প্রতীকী অনশনের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। পাশাপাশি আগামিকাল কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের এই লড়াইকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নির্যাতিতার বিচার-সহ একাধিক দাবিতে শনিবার সন্ধ্যায় আমরণ অনশনে বসেন ৬ জুনিয়র চিকিৎসক। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে তাতে শামিল হন আন্দোলনের মুখ তথা চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। সোমবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানেই একাধিক সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ পঞ্চমীতে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করবেন রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। পাশাপাশি কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিল করা হবে। জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ৯ জন অনশন শুরু করেছেন। এসবের পাশাপাশি পুজোয় ফেরা নিয়ে আন্দোলনকারীরা বললেন, “কেউ যদি চায় উৎসব করবেন। কেউ যদি চান আমাদের সঙ্গে থাকতে তবে থাকবেন।”
উল্লেখ্য, আর জি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলা। প্রায় দুমাস ধরে আন্দোলনে শামিল জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘ টালবাহানার পর মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। ঘটনার ৪১ দিনের মাথায় প্রথম দফায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আংশিকভাবে কাজে ফেরেন। এই পরিস্থিতিতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি হয়। সেই রাতেই জিবি মিটিং করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখানে দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এর পর শুক্রবার এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল এবং ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধরনায় বসেন। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কাজে ফিরেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে দাবি পুরণে রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়। শনিবার রাত সাড়ে আটটার মধ্যে স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ-সহ ১০ দফা দাবিপূরণ না হওয়ায় আমরণ অনশনে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।