আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে সন্দীপ ঘোষকে জেরা করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শুধু সন্দীপ নন, এই মামলায় ধৃত বিপ্লব সিংহ এবং আফসর আলিকে জেরা করার আবেদন করেছে তারা। এঁদের মধ্যে আফসর সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। বর্তমানে তিন জনই জেলে রয়েছেন। তাই জেলে গিয়েই তাঁদের জেরা করতে চেয়ে আবেদন করেছে ইডি। সোমবার আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
আরজি করের চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনার পর পরই কলেজের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ ওঠে, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি চলেছে। সে বিষয়ে তদন্তের জন্য গত ১৬ অগস্ট রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়। এক দিন পরেই উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একাধিক বেনিয়মের তত্ত্ব উঠে এসেছে। মর্গ থেকে দেহ উধাও হওয়া থেকে শুরু করে রয়েছে হাসপাতালের জৈব বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও! এ বিষয়ে পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার।
সেই মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই সন্দীপদের গ্রেফতার করে। পরে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলার তদন্ত শুরু করে ইডি। এই মামলায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানাও দিয়েছিল তারা। এমনকি, সন্দীপের স্ত্রী সঙ্গীতাকে বার কয়েক তলব করে জেরা করেছে ইডি। তাঁদের বেলেঘাটার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারীরা।
সন্দীপের বাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শেষে কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তা-ও ইডির তরফে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা জানান, তল্লাশিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। সন্দীপ এবং সঙ্গীতার সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি এবং বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইসও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই সব নথির ভিত্তিতেই সন্দীপকে জেরা করতে চায় ইডি।