১০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মিটবে, ডাক্তারদের অনশন তোলার বার্তা মুখ্যসচিবের
এই সময় | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন। মঙ্গলবার সব মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকী অনশনে যোগ দেবেন জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তাররা বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাঝেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা বাড়াতে ও ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধ করতে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে বিবৃতি দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নেওয়ার বার্তাও দেন মুখ্যসচিব।মনোজ পন্থ সোমবার জানান, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সিসিটিভি লাগানো এবং ওয়াশরুম, ডিউটি রুম তৈরির কাজ প্রায় ৯০% শেষ হয়ে যাবে। ১ নভেম্বর থেকে চালু হবে প্যানিক অ্যালার্ম বাটন। তিনি দাবি করেন, রাজ্যের ২৮টা মেডিক্যাল কলেজে ৭ হাজার ৫১টা সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩, হাজার ১২১টি (৪৫% প্রায়) বসে গিয়েছে। বাকি সিসিটিভি বসানোর কাজ দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানান মুখ্যসচিব।
এর পাশাপাশি, আগামী ১৫ তারিখ থেকে রেফারেল সিস্টেমকে (রোগী অন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া) কেন্দ্রীয় ভাবে পরিচালনা করার জন্য পাইলট প্রজেক্ট চালু করা হবে। মুখ্যসচিব বলেন, ‘প্রথমে আমরা এটার পাইলট প্রজেক্ট করবো। কী ভাবে কাজ চালানো যেতে পারে, সেটা পর্যবেক্ষণ করা হবে। পুরোপুরি কাজ নভেম্বর মাসের প্রথম থেকেই হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’ এই সমস্ত কাজের অগ্রগতি নিয়ে সোমবার সব মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
জুনিয়ার ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি ছিল। যেমন, ১) মেডিক্যাল কলেজে সিসিটিভির সংখ্যা বাড়াতে হবে। ২) রেস্ট রুম নির্মাণ, মহিলাদের জন্য পৃথক শৌচালয় নির্মাণ করতে হবে। ৩) রোগীর পরিজনদের হেনস্থা দূর করতে সমস্ত হাসপাতালে কতগুলো বেড ফাঁকা রয়েছে, সেটি জানানোর জন্য একটি ডিজিটাল মনিটার সিস্টেম চালু করতে হবে। ৪) থ্রেট কালচার দূর করতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কমিটি তৈরি। ৫) সব মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এ ছাড়া আরও ৫ দফা দাবি ছিল। এ ছাড়া, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। মুখ্যসচিবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠকও হয়। সুপ্রিম কোর্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানো-সহ যাবতীয় কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে।