১০৭ ফুটের দুর্গা, শহরের অদূরে এই পুজোয় উপচে পড়া ভিড়
এই সময় | ০৭ অক্টোবর ২০২৪
১০৭ ফুটের দুর্গা তৈরি করে সাড়া ফেলেছে সোদপুরের শহিদ কলোনি সর্বজনীন। মহালয়ার রাত থেকেই এই ঠাকুর দেখার জন্য ছিল উপচে পড়া ভিড়। মণ্ডপের সামনেই তৈরি করা হয়েছে বিশালাকার দুর্গা। দূর থেকেও তা দশনার্থীদের নজরে আসছে। সূর্য ডুবলেই শুরু হচ্ছে মায়াবি আলোর খেলা। দুর্গা প্রতিমার অঙ্গসজ্জাতে ব্যবহার করা হয়েছে এলইডি। যা দুর্গা প্রতিমার আকর্ষণ বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। ২০১৫ সালে দেশপ্রিয় পার্ক ৮৮ ফুট উঁচু প্রতিমা গড়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে বিষ্ণুপুরের একটি পুজো কমিটি ১১০ ফুট দীর্ঘ প্রতিমা তৈরি করেছিল।এই বছরও ১১২ ফুট উঁচু মূর্তি তৈরি করে চমক দিতে চেয়েছিল নদিয়ার রানাঘাটের একটি পুজো কমিটি। যদিও উদ্যোক্তারা উপযুক্ত অনুমতি নেয়নি বলে জানানো হয় প্রশাসনের তরফে। শেষে এই পরিকল্পনা কার্যকর করেননি রানাঘাটের উদ্যোক্তারা। ফলে এই বছর বাংলার সবথেকে বড় দুর্গা তৈরির তকমা পেয়েছে সোদপুরের ধানকল বাস স্ট্যান্ড শহিদ কলোনি সর্বজনীনের ঝুলিতেই। এই বছর তাদের পুজো ৭৫ বছরে পা দিয়েছে। তাদের এ বারের পুজোর থিম '৭৫-এ একশো'। মণ্ডপের অন্দরে রয়েছে বিষ্ণুর দশ অবতার। দেবী দুর্গা দাঁড়িয়ে রয়েছেন মহিষাসুরের মাথার উপর। গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীও রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। প্রত্যেকের মূর্তির মধ্যে অসংখ্য আলো ব্যবহার করা হয়েছে। যেগুলি রং ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে।
এই প্রতিমা তৈরি করেছেন শিল্পী চিরঞ্জিত দাস। তিনি বলেন, 'গত কয়েক মাস ধরেই এই প্রতিমা ও মণ্ডপ তৈরির কাজ করা হচ্ছিল। মূলত ফাইবার দিয়েই তা তৈরি হয়েছে।’ এই প্যান্ডেলে যে ভিড় উপচে পড়বে, তা আগে থেকেই আন্দাজ করা হয়েছিল। পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন।
ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়ন্ত দাস বলেন, 'ক্লাবের তরফে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। একাধিক স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। সুরক্ষায় কোনও খামতি রাখা হয়নি।’ তৃতীয়াতেও বহু মানুষ এই মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছিলেন। চতুর্থীর পর দর্শনার্থীদের ঢল আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।