আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর ৫৮ দিন পর প্রথম চার্জশিট পেশ সিবিআই-এর। শিয়ালদহ কোর্টে সোমবার চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সূত্রের খবর, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে এক জনের নামই উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে কে, কী বয়ান দিয়েছেন, সেই নথিও তুলে ধরা হয়েছে চার্জশিটে। পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ-সহ আরও বেশ কিছু প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ আগেই সঞ্জয় রায় নাম এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছিল। মূল ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শুধু তার নাম যুক্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের পর জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম থেকে যা শুনেছি, সেই অনুযায়ী এটি একটি প্রাথমিক চার্জশিট। তার ভিত্তিতে এই মুহূর্তে আমরা কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। তার পরে এই বিষয়ে যা জানানোর জানাবো।’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে আরও খবর, জমা দেওয়া চার্জশিটে মোট ২০০ জনের নাম রয়েছে। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর। যদিও এখনও তদন্ত প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। কারণ একা সঞ্জয় নয়, একাধিক কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে এখনও অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা CBI চেয়েছিলেন, তাঁরা দেখুন, মূল ধর্ষণ-খুনের মামলায় শুধু সঞ্জয় রায়ের নামে চার্জশিট দিল। যাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তদন্ত চলুক। ডাক্তারদের গোষ্ঠী রাজনীতির নাটক, নানা গল্প চলবে। হয়তো পরে অন্য নাম জুড়বে। মেনে নিন, কলকাতা পুলিশ ঠিক পথেই ছিল।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল পরিবারের। প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুলিশের সিট এই তদন্ত করলেও পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পর বিচারের দাবিতে টানা আন্দোলন চলছে রাজ্যে।