ময়নাতদন্ত শেষে জয়নগরের নির্যাতিতা ছাত্রীর দেহ ফিরছে বাড়িতে
এই সময় | ০৮ অক্টোবর ২০২৪
দীর্ঘ প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে জয়নগরের নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত করা হলো কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতালের পুলিশ মর্গ থেকে গ্রিন করিডোর করে নাবালিকার মৃত দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কল্যাণী এইমস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হয় ময়নাতদন্ত। নির্যাতিতার পরিবারের দুই সদস্যও ময়নাতদন্তে উপস্থিত ছিলেন। এ দিন সকালে ফরেন্সিক এক্সপার্ট এবং কল্যাণী এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এসে উপস্থিত হন কল্যাণী পুলিশ মর্গে। সেখানে সকাল ১০টার পর কড়া পুলিশি পাহারায় মৃত নাবালিকার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। শুরু হয় ময়নাতদন্তের কাজ।
সকালে কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যদিও পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, তিনি শুধু পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। তবে রাজ্যের প্রশাসনের উপর ক্ষোভ চড়িয়েছেন অম্বিকা রায়। তিনি দাবি করেন, আরজি করের ঘটনার মতো এই ঘটনাতেও তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিজেপির পাশাপাশি মর্গের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
কুলতলির নাবালিকার পরিবারের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্ট এইমস কল্যাণী হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। বারুইপুর কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত হয়।